বৃহস্পতিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

বসুন্ধরার উৎপাদিত উন্নত বিটুমিন দেশের অর্থ বাঁচাবে

বেসরকারি খাতের প্রথম বিটুমিন প্লান্ট পরিদর্শন এলজিইডি কর্মকর্তাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক

বসুন্ধরার উৎপাদিত উন্নত বিটুমিন দেশের অর্থ বাঁচাবে

বেসরকারি খাতে দেশের প্রথম বিটুমিন প্লান্ট বসুন্ধরা অয়েল অ্যান্ড গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড (বিওজিসিএল) পরিদর্শন করেছেন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিইডি) শীর্ষ কর্মকর্তারা। বসুন্ধরা গ্রুপের আমন্ত্রণে এ পরিদর্শনে আসেন এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী মো. আবদুর রশীদ খানের নেতৃত্বে ২৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল। গতকাল কেরানীগঞ্জের বনগাঁও এলাকায় অবস্থিত প্লান্টে এলজিইডির কর্মকর্তারা বিভিন্ন কার্যক্রম ঘুরে দেখেন।

এ সময় বুয়েটের বিটুমিন গ্রেড নির্ধারণ কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাকারিয়া, এলজিইডির অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আলী আখতার হোসেন, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী নূর হোসেন হাওলাদার, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোহম্মদ রেজাউল করিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে বসুন্ধরা গ্রুপ সেক্টর-বি প্রধান বিপণন কর্মকর্তা খন্দকার কিংশুক হোসেন বসুন্ধরা বিটুমিনের গুণগত মান ও কার্যকারিতা তুলে ধরেন। প্লান্টের প্রধান ইঞ্জিনিয়ার নাফিজ ইমতিয়াজ আলম বিটুমিনের সামগ্রিক উৎপাদন ও পণ্যের গুণগত মান সম্পর্কে ধারণা প্রদান করেন। এ ছাড়া অনুষ্ঠানে বিওজিসিএল ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

পরিদর্শন শেষে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিইডি) প্রধান প্রকৌশলী আবদুর রশিদ খান বলেন, আমরা চাই দেশীয় কোম্পানি বিটুমিন উৎপাদন করুক। এতে সময় ও খরচ কমে যাবে। বিপণন সহজলভ্য করতে জেলা পর্যায়ে পৌঁছানোর আহ্বান জানান তিনি। তিনি বলেন, বসুন্ধরা গ্রুপের এমন একটি প্রকল্প করার উদ্যোগ অত্যন্ত প্রশংসনীয়। বাংলাদেশ যে উন্নত দেশে পরিণত হচ্ছে তার একটি উদাহরণ হচ্ছে এই প্রকল্প।

এলজিইডির মান নিয়ন্ত্রণ ইউনিটের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. রেজাউল করিম বলেন, আমি বসুন্ধরাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি যে প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প তারা হাতে নিয়েছেন। বসুন্ধরা তার কোয়ালিটি দিয়েই বাজার দখল করবে। এলজিইডি কখনো কোয়ালিটির সঙ্গে আপস করে না। এটা বাংলাদেশের জন্য বিরাট বিষয়। আর বাংলাদেশ সরকারের বিটুমিন চাহিদার ৫ লাখ টনের মধ্যে ২ লাখ টন বিটুমিন এককভাবে ব্যবহার করে এলজিইডি। সুতরাং এলজিইডি বিরাট একটা স্টেক হোল্ডার হবে বা ইউজার হবে বিটুমিন ব্যবহার করার জন্য। তাই আমরা বলব, গুণগত মানের দিক থেকে যেন বসুন্ধরা কোনো আপস না করে।

সর্বাধুনিক প্রযুক্তিতে নির্মিত বসুন্ধরা বিটুমিন প্লান্ট বেসরকারি খাতে স্থাপিত দেশের প্রথম ও একমাত্র বিটুমিন প্রস্তুতকারী প্লান্ট। ২০২০ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি সরকারি, বেসরকারি উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে জাঁকজমকভাবে এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। প্লান্ট কর্মকর্তারা জানান, বাংলাদেশের বিটুমিন চাহিদার প্রায় ৯০ ভাগ বিদেশ থেকে আমদানি করা হতো। যার অবসান ঘটতে যাচ্ছে বসুন্ধরা বিটুমিনের হাত ধরে। এ ছাড়া দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও বসুন্ধরা বিটুমিন রপ্তানি করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। যা দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি জাতীয় অর্থনীতিতেও ভূমিকা রাখবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর