বৃহস্পতিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা
১৩৩ কোটি টাকা আত্মসাৎ

এবি ব্যাংকের সাবেক দুই কর্মকর্তাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে দুদকের চার্জশিট

বিশেষ প্রতিনিধি

এলসির বিপরীতে ব্যাংক থেকে ১৩৩ কোটি টাকা ঋণ সুবিধা নিয়ে তা পরিশোধ না করে আত্মসাতের অভিযোগে আরব বাংলাদেশ (এবি) ব্যাংক লিমিটেডের সাবেক দুই কর্মকর্তাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল আদালতে এ চার্জশিট পেশ করা হয়। চার্জশিটের আসামিরা হলেন- চট্টগ্রামের মেসার্স ইয়াসির এন্টারপ্রাইজের মালিক মোজাহার হোসেন, ব্যাংকের পোর্ট কানেক্টিং রোড শাখার ইভিপি ও শাখা ম্যানেজার নাজিম উদ্দিন এবং ব্যাংকের ঢাকার প্রধান কার্যালয়ের সাবেক সিনিয়র সহকারী ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ক্রেডিট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন মনিটরিং শাখার ইনচার্জ আজাদ হোসেন। অভিযোগে বলা হয়েছে, মঞ্জুরিপত্রের শর্ত ভঙ্গ করে তারা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রতারণার মাধ্যমে ব্যাংকের চট্টগ্রামের হালিশহরের পোর্ট কানেক্টিং রোড শাখা থেকে ওই পরিমাণ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। অভিযোগে আরও বলা হয়, মোজাহের হোসেন ব্যাংকের চট্টগ্রামের ওই শাখা থেকে ২০০১ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন ঋণ সুবিধা গ্রহণ করেছেন।

পরে ২০১৩ সালে ব্যাংকের ওই দুই কর্মকর্তার সুপারিশে একই শাখা থেকে আমদানি এলসির বিপরীতে ঋণের মাধ্যমে বিদেশ থেকে প্রায় ৯৯ কোটি টাকার গম, চাল, ডাল, সার, বীজ, রাসায়নিক পণ্য আমদানি করে স্থানীয় বাজারে বিক্রি করা হয়। দুদকের তদন্তে আসল সুদসহ ১৩৩ কোটি ১৮ লাখ ৯২ হাজার টাকা পরিশোধ করেননি।

এ ছাড়া ভুয়া কাগজের মাধ্যমে ঋণ নিয়ে সাড়ে ৭৩ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে রূপালী ব্যাংকের দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলার অনুমোদন দিয়েছে দুদক। তারা হলেন- রূপালী ব্যাংকের সাতক্ষীরার বুধহাটা বাজার শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক ও প্রিন্সিপাল অফিসার (সাময়িক বরখাস্ত) গোলাম মোস্তফা এবং সাতক্ষীরা করপোরেট শাখার অফিসার শেখ আরিফুর রহমান। গতকাল দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে মামলার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে দুদক সূত্র জানিয়েছে। ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে আত্মসাতের ঘটনাটি ঘটে। সংস্থাটির উপ-পরিচালক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ শিগগিরই মামলার এজাহার দাখিল করবেন বলে জানা গেছে।

দুদক সূত্রে জানা যায়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার ও জাল রেকর্ডপত্র তৈরি করে সাতক্ষীরার ১৫ জন গ্রাহকের নামে ৭৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা ঋণ মঞ্জুর করেন। পরে সেই ঋণের টাকা বিভিন্ন গ্রাহকের সঞ্চয়ী হিসাবে স্থানান্তর করে ঋণের সব অর্থ উত্তোলন এবং আত্মসাৎ করেন। অভিযোগ উত্থাপিত হওয়ার পর আসামিরা টাকার মধ্যে সুদ-আসল বাবদ ৪৩ লাখ ৯২ হাজার ৭৫৫ টাকা ব্যাংকে জমা দেন তারা। বাকি টাকা এখনো পাওনা রয়েছে। অপরাধ সংঘটিত হওয়ায় আসামিদের বিরুদ্ধে পুরো টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলাটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

সর্বশেষ খবর