নভেম্বরে আবারও শুরু হচ্ছে দেশব্যাপী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। ১১ নভেম্বর দেশের ৮৪৮ ইউপিতে দ্বিতীয় ধাপের ভোট গ্রহণ হবে। ১৭ অক্টোবর এ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময়। এ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দলীয় বা স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার সুযোগ পাবেন সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের ভোটাররা। সাধারণ ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডে প্রার্থী হতে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ভোটার তালিকায় তার নাম থাকতে হবে। তবে যে কোনো পদে প্রার্থী হতে হলে তার বয়স হতে হবে ২৫ বছরের বেশি। চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হতে জামানত লাগবে ৫ হাজার টাকা। সাধারণ ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডে প্রার্থী হতে জামানত লাগবে ১ হাজার টাকা। এ ছাড়া চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধিত কোনো রাজনৈতিক দলের প্রার্থী হতে হলে তাকে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে দলীয় প্রত্যয়নপত্র জমা দিতে হবে রিটার্নিং অফিসারের কাছে। তবে সংশ্লিষ্ট ইউপির ভোটার এবং প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা থাকলেই আগ্রহীরা চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে পারবেন। এদিকে রাজনৈতিক দলের প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়ার ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তির নাম, পদবি ও স্বাক্ষরের নমুনা তফসিল ঘোষণার সাত দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসার ও ইসির কাছে পাঠাতে হবে। এজন্য দলগুলোকে চিঠিও দিয়েছে ইসি। তফসিল অনুযায়ী চেয়ারম্যান, সাধারণ ও সংরক্ষিত (নারী) সদস্য পদে প্রার্থী হতে আগ্রহীরা ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারবেন। ২০ অক্টোবর মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই। প্রত্যাহার করা যাবে ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত। ভোট গ্রহণ ১১ নভেম্বর নির্বাচনী আইন অনুযায়ী রাজনৈতিক দলের চেয়ারম্যান প্রার্থীর ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দলের সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদক বা সমপর্যায়ের পদাধিকারী বা তাদের নিকট থেকে ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তির স্বাক্ষরিত একটি প্রত্যয়নপত্র থাকতে হবে। তবে কোনো রাজনৈতিক দল কোনো ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান পদে একাধিক ব্যক্তিকে মনোনয়ন দিতে পারবে না। একাধিক ব্যক্তিকে মনোনয়ন দিলে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদে দলের প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হবে। ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রার্থীর প্রস্তাবক ও সমর্থক হতে হলে সংশ্লিষ্ট ইউপি, ওয়ার্ডের ভোটার হতে হবে। তবে কোনো ভোটার প্রস্তাবকারী হিসেবে অথবা সমর্থনকারী হিসেবে চেয়ারম্যান অথবা সাধারণ বা সংরক্ষিত আসনের সদস্য পদে নির্বাচনের উদ্দেশ্যে সংশ্লিষ্ট পদে একটির অধিক মনোনয়নপত্রে তার নাম ব্যবহার করতে পারবেন না।

যদি কোনো ভোটার একই পদে একাধিক মনোনয়নপত্রে তার নাম ব্যবহার করেন তাহলে এমন ধরনের সব মনোনয়নপত্র বাতিল হবে।