খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, ব্যবসায়ীদের মুনাফার প্রতি অতি লোভের কারণে মাঝে মাঝেই মূল্যবৃদ্ধি ঘটে। এ কারণে কৃষক ও ভোক্তাদের জন্য ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে প্রাইস কমিশন (মূল্য কমিশন) গঠন করা হবে। এটি করা হলে ব্যবসায়ীদের এ প্রবণতা কমে যাবে। গতকাল নিজের সরকারি বাসভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে খাদ্য অধিকার বাংলাদেশ আয়োজিত ‘খাদ্য উৎপাদন, আমদানি এবং বাজার পরিস্থিতি : প্রেক্ষিত খাদ্য অধিকার’ শীর্ষক ওয়েবিনারে তিনি এসব কথা বলেন। খাদ্যমন্ত্রী বলেন, চালের মূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকার ধান মজুদ সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নিয়েছে। বাজার মনিটরিংয়ের প্রধান ভূমিকা পালন করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। খাদ্য মন্ত্রণালয়ও মনিটরিং করে থাকে। তবে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের মূল ভূমিকা সরকারিভাবে কৃষকের কাছ থেকে ধান ক্রয় করা এবং খাদ্য সরবরাহ সচল রাখা, বিশেষত সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর ক্ষেত্রে। সারা দেশে ২০০ সাইলো নির্মাণ ছাড়াও খাদ্যগুদামগুলো মেরামত করে এ সক্ষমতা বাড়ানো হবে।

সরকার প্রকৃত কৃষকের কাছ থেকে ধান কেনে, মধ্যস্বত্বভোগীদের খাদ্য গুদামে প্রবেশাধিকার নেই। তাদের দৌরাত্ম্য রোধে ফুড গ্রেড লাইসেন্স দিচ্ছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। কেউ অবৈধ মজুদ করলে তাকে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। অবৈধ মজুদদারদের কারসাজি রোধকল্পে বিদেশ থেকে চাল আমদানি করা হয়। কৃষক ধানের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার কৃষিবান্ধব, কৃষি গবেষণায় বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। কৃষি খাতকে ডিজিটালাইজড করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। কৃষকরা অ্যাপ ব্যবহার করছে। সবাইকে অ্যাপের আওতায় আনা গেলে উৎপাদনের সঠিক তথ্য পাওয়া যাবে এবং বাজার নিয়ন্ত্রণেও তা সহায়ক হবে। খাদ্য অধিকার বাংলাদেশ ও পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদের সভাপতিত্বে ওয়েবিনারে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবীর এবং ইউএনডিপির দেশীয় অর্থনীতিবিদ ড. নাজনীন আহমেদ।