শনিবার, ২ অক্টোবর, ২০২১ ০০:০০ টা

র‌্যাব সদস্য দুলাভাইকে নিয়ে মামলার সাক্ষীকে মারধর আসামির

নিজস্ব প্রতিবেদক

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে র‌্যাব সদস্য দুলাভাইকে নিয়ে মামলার সাক্ষী ও তার স্ত্রীকে মারধর করেছেন নারী নির্যাতন মামলার আসামি। এ সময় র‌্যাবের অন্য সদস্যরাও মারধরে অংশ নেন। নির্যাতনের শিকার দুজন হলেন বয়োজ্যেষ্ঠ শাহজাহান ও তার স্ত্রী মরিয়ম বেগম। তারা নাঙ্গলকোটের গন্ডাপুরের বাসিন্দা। এ ঘটনায় মরিয়ম বেগম বাদী হয়ে র‌্যাব-১১ কুমিল্লার শাকতলা ক্যাম্পের ডিএডি মো. আমিরুল ইসলাম ও তার শ্যালক ফারুকসহ ১৪ জনকে আসামি করে কুমিল্লার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা করেছেন। এ মামলায় স্থানীয় ১০ জন সাক্ষী হিসেবে রয়েছেন। মামলার অন্য আসামিরা হলেন- হাসান, নাজমুল, শাহনাজ ও আবুল হাসেম, এসআই মো. মাহফুজুর রহমান,  হাবিলদার মো. মোসলেম উদ্দিন, এএসআই মো. অলিউল ইসলাম, কনস্টেবল আবদুল্লাহ আল মামুন, কনস্টেবল মো. আল আমিন, সিপাহী পান্না বেগম, ল্যান্স করপোরাল মো. শরীফ উদ্দিন এবং ডিএডি কবির।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, এই মামলার আসামি নাঙ্গলকোটের গন্ডাপুরের ফারুক তার স্ত্রী খালেদা আক্তারকে প্রায়ই শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতেন। এ ঘটনায় ফারুকের বিরুদ্ধে তার স্ত্রী খালেদা কুমিল্লার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন। ওই মামলায় এলাকার বয়োজ্যেষ্ঠ শাহজাহানকে সাক্ষী করা হয়। মামলার পর নিজের দুলাভাই র‌্যাবে চাকরি করেন জানিয়ে স্ত্রী খালেদা ও সাক্ষী শাহজাহানকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন ফারুক।

মামলার আর্জিতে বলা হয়েছে, গত ৯ জুলাই রাতে ফারুক লোকজন নিয়ে গন্ডাপুর গ্রামে ঘর থেকে ভুক্তভোগী মরিয়ম ও শাহজাহানকে বের করে আনেন। তাদের লাথি, কিলঘুষি ও লাঠি দিয়ে মারধর করতে থাকে। এ সময় বাইরে থাকা আসামি ফারুকের দুলাভাই র‌্যাব সদস্য হাসান বলেন, ‘আমার শালাকে (ফারুক) মামলায় জড়াইছিস, আজ তোদের দেখে নেব।’ এ সময় উপস্থিত অন্য র‌্যাব সদস্যরাও লাঠি দিয়ে মারধর করে এবং অস্ত্রের মুখে বাড়ি থেকে উঠিয়ে নিয়ে ভুক্তভোগীদের মেরে ফেলার হুমকি দেয়।

আর্জিতে আরও বলা হয়, ভুক্তভোগী মরিয়ম নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২১ দিন চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফেরেন। জানতে পারেন তার স্বামী শাহজাহানকে অপহরণ করা হয়েছিল। তিনি বাড়ি এসে মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েন।

এ বিষয়ে বাদী মরিয়ম বেগম জানান, মামলার পর আসামি ফারুক ও তার দুলাভাই হাসান মামলা না উঠিয়ে নিলে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। আসামিদের ভয়ে আমরা বাড়িতে থাকতে পারছি না।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর