রবিবার, ৩ অক্টোবর, ২০২১ ০০:০০ টা

পোশাক রপ্তানি বাড়ছে নতুন অর্ডার আসছে

সংবাদ সম্মেলনে বিজিএমইএ

নিজস্ব প্রতিবেদক

পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ সভাপতি মো. ফারুক হাসান বলেছেন, করোনা পরিস্থিতির উন্নয়নের সঙ্গে পোশাকশিল্পও ঘুরে দাঁড়াতে সমর্থ হবে। আবারও পোশাক রপ্তানি বাড়ছে, আরও নতুন অর্ডার আসছে। এ অবস্থায় মহামারীর চ্যালেঞ্জগুলো কাটাতে সরকারের সহায়তা, দূতাবাসের আন্তরিকতা প্রয়োজন। সেটা হলে পোশাক খাতে বিশ্ব বাজারে নেতৃত্ব দেবে বাংলাদেশ। গতকাল হোটেল ওয়েস্টিনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান। তিনি বলেন, দেশের পোশাক খাতকে আরও এগিয়ে নিতে নতুন বাজারের সন্ধানে প্রায় এক মাস যুক্তরাষ্ট্র সফর করেছেন বিজিএমইএ প্রতিনিধি দল। ক্রেতাদের আকৃষ্ট করা, নতুন দেশের বাজার তৈরি এবং পোশাক খাতের ব্র্যান্ডিং করাই ছিল সফরের মুখ্য উদ্দেশ্য। একই সঙ্গে দেশীয় শিল্পের ইমেজ তৈরিতেও এ সফর বড় ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। সফরে সমিতির নেতারা ক্রেতা বা ব্র্যান্ডের সঙ্গে বিভিন্ন সভা-সেমিনার করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে স্থগিত অগ্রাধিকার বাণিজ্য সুবিধা (জিএসপি) ফিরে পাওয়ার ব্যাপারেও আশার সঞ্চার হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, শিল্পের টেকসই উন্নয়ন, আধুনিকায়ন ও দক্ষতা বাড়ানোর মাধ্যমে আমাদের মার্কেট শেয়ার ৬২.৬ শতাংশ থেকে আরও বাড়ানো সম্ভব। আমরা সার্বিকভাবে চেষ্টা করছি, আমাদের এ শিল্পের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে। আমরা উত্তর আমেরিকা সফরের মাধ্যমে আমাদের অ্যাপারেল ডিপ্লোমেসির কাজটি নতুনভাবে শুরু করেছি। আগামী দিনগুলোতে আমরা আরও নতুন নতুন বাজারে ক্যাম্পেইন করব। সভা, সেমিনার ও মেলায় অংশ নেব। বিগত বছরগুলোতে দেশীয় শিল্পে যে পরিবর্তন এসেছে, তা বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরব।

ফারুক হাসান বলেন, করোনার কারণে গত দুই অর্থবছরে রপ্তানি কমেছে, উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ হয়নি, নতুন কর্মসংস্থানও সৃষ্টি হয়নি বললেই চলে। প্রধানমন্ত্রী প্রণোদনা প্যাকেজ না দিলে শিল্পকে টিকিয়ে রাখা সম্ভব হতো না। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় আমাদের শিল্পও ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। বিশ্বব্যাপী ফ্রেইট ব্যবস্থাপনা বিপর্যস্ত হয়ে পড়ায় কনটেইনার ভাড়া ২০০ থেকে ৩০০ গুণ বেড়েছে। এ ছাড়া আমাদের সামনে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ আছে, যার মধ্যে অন্যতম পণ্যের দরপতন এবং স্থানীয় পর্যায়ে কিছু সমস্যা। এগুলোর সমাধান হলেও আবারও আগের অবস্থানে ফিরতে পারবে তৈরি পোশাক শিল্প।

বিজিএমইএ সভাপতি কিছু সমস্যার কথা উত্থাপন করে কয়েকটি দাবি তুলে ধরেন। এসব দাবির মধ্যে রয়েছে- শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা প্রদানের জন্য দেওয়া ঋণ পরিশোধের কিস্তির সংখ্যা ১৮টির পরিবর্তে ৩৬টি করা। লোকাল ব্যাক টু ব্যাক ঋণপত্রের মাধ্যমে স্থানীয়ভাবে সংগৃহীত কাঁচামাল, সুতা ও আনুষঙ্গিক দ্রব্যাদির ক্ষেত্রে বন্ডেড ওয়্যার হাউস লাইসেন্স থাকার বাধ্যবাধকতা রহিত করা। গ্রুপ অব কোম্পানির একটি প্রতিষ্ঠানের ঋণ খেলাপি হলে সহযোগী অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের ব্যাংকিং কার্যক্রম বন্ধ না করা। বন্ড লাইসেন্সে এইচএস কোড ও কাঁচামালের বিবরণ অন্তর্ভুক্তির জটিলতা নিরসন করা। সুতা থেকে নিট গার্মেন্টস উৎপাদনে অপচয় হার বাড়ার কারণে জরিমানা আরোপ না করা।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর