রবিবার, ৩ অক্টোবর, ২০২১ ০০:০০ টা

সিলেটে রোগীশূন্য দুই কভিড হাসপাতাল

শাহ্ দিদার আলম নবেল, সিলেট

সিলেটে এখন হাসপাতালের চিত্র ভিন্ন। যেসব হাসপাতালের সামনে একটি সিটের জন্য রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্সের ভিড় থাকত সেসব হাসপাতাল এখন রোগীশূন্য। সিলেট মহানগরের বেসরকারি হাসপাতাল ছাড়া চারটি সরকারি হাসপাতালে কভিড রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হয়। এর তিনটি কভিড ডেডিকেটেড। এর মধ্যে শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতাল ১০০ শয্যার এবং দক্ষিণ সুরমা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও খাদিমপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রতিটি ৩১ শয্যার। এর বাইরে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আরও ৩৫০ শয্যা বরাদ্দ দেওয়া হয় কভিড চিকিৎসার জন্য। সব মিলিয়ে সিলেটে সরকারি চার হাসপাতাল মিলে ৫ শতাধিক শয্যা দিয়েও সামাল দেওয়া যাচ্ছিল না করোনা রোগী। কিন্তু সেপ্টেম্বর থেকে সংক্রমণ কমতে থাকায় হাসপাতালে রোগীর চাপও কমতে থাকে। সিলেটের ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. জন্মেজয় দত্ত জানান, রোগী না থাকায় ৩১ শয্যার দক্ষিণ সুরমা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও খাদিমপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কভিড চিকিৎসা কার্যক্রম আপাতত বন্ধ। গতকাল বিকাল পর্যন্ত হাসপাতাল দুটিতে কোনো রোগী ভর্তি ছিলেন না। সিলেটের সবচেয়ে বড় কভিড ডেডিকেটেড ১০০ শয্যার শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে গতকাল বিকাল পর্যন্ত রোগী ভর্তি ছিলেন ৩২ জন। এমন তথ্য জানিয়ে হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. মিজানুর রহমান জানান, হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা দিন দিন কমছে। গতকাল যে ৩২ জন ভর্তি ছিলেন তার ১৩ জন ছিলেন আইসিইউতে।

এদিকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৩৫০ শয্যার মধ্যে কভিড শনাক্ত রোগী ভর্তি ছিলেন মাত্র নয়জন। আর কভিড উপসর্গের রোগী ছিলেন ৬২ জন। শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ ও ওসমানী হাসপাতাল মিলে প্রায় ৯০ ভাগ আসনই ছিল ফাঁকা।

এদিকে গতকাল সকাল ৮টা থেকে পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় সিলেট বিভাগে করোনায় মারা গেছেন আরও একজন।

সিলেট বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. হিমাংশু লাল রায় জানান, শনাক্ত হার কমায় হাসপাতালে রোগীর চাপ কমেছে। সংক্রমণ কমলেও স্বস্তিতে না ভুগে টিকা গ্রহণ, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা ও জনসমাগম এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেন তিনি।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর