মঙ্গলবার, ৫ অক্টোবর, ২০২১ ০০:০০ টা

‘এক নেতার এক পদ’ বাস্তবায়নে কঠোর হচ্ছে বিএনপি

স্বেচ্ছায় পদ না ছাড়লে নেওয়া হবে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা

নিজস্ব প্রতিবেদক

দলের গঠনতন্ত্র কার্যকর করতে ‘এক নেতার এক পদ’ বাস্তবায়নে কঠোর হচ্ছে বিএনপি। ২০১৬ সালের ১৯ মার্চ অনুষ্ঠিত কাউন্সিলের পর থেকে বারবার চেষ্টা করেও সফল হয়নি দলটি। গত শনিবার পার্টির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে ‘এক নেতার এক পদ’ বাস্তবায়নে জোর দেন নেতারা। কেন্দ্র থেকে তৃণমূলে এ ব্যাপারে কঠোর বার্তা পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়।  স্বেচ্ছায় কেউ একাধিক পদ না ছাড়লে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার চিন্তাও করছে বিএনপির হাইকমান্ড। এর সপক্ষে যুক্তি তুলে ধরে স্থায়ী কমিটির একাধিক সদস্য জানান, ‘এক নেতার এক পদ’ বাস্তবায়ন করা গেলে অনেক নেতাই পদ পাবেন। পদবঞ্চিত হবেন না কোনো নেতাই।

স্থায়ী কমিটির সর্বশেষ বৈঠকে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, একজন নেতা শুধু একটি পদে থাকতে পারবেন। এই বার্তা বিএনপির মাঠ পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। গত সোমবার ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির নেতাদের সঙ্গে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠক হয়। সেখানেও সিদ্ধান্ত হয়েছে, ঢাকায় একজন নেতা একাধিক পদে থাকতে পারবেন না।

বিএনপির গঠনতন্ত্রের ১৫(খ) অনুযায়ী, স্থায়ী কমিটি বা চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের কোনো সদস্য, জাতীয় নির্বাহী কমিটির কোনো কর্মকর্তা এবং অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের কোনো সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদক দলের অন্য কোনো পর্যায়ের কমিটিতে কর্মকর্তা নির্বাচিত হতে পারবেন না। তবে অনিবার্য কারণে দলের চেয়ারম্যান/চেয়ারপারসন সাময়িকভাবে ব্যতিক্রম অনুমোদন করতে পারবেন।

এরই মধ্যে এক নেতার এক পদ বাস্তবায়নে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম, ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাজাহান, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু এক পদ রেখে বাকি পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। কিন্তু এরপরও বেশ কয়েকজন নেতা এখনো পদ ছাড়েননি।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দলে যোগ্যদের যোগ্য স্থানে দায়িত্ব দিতে চান। যেহেতু বড় দল হিসেবে বিএনপিতে নেতার সংখ্যা স্বাভাবিকভাবেই বেশি। এ অবস্থায় একজন নেতা একাধিক পদ আঁকড়ে থাকলে অন্য যোগ্য নেতাদের পদে বসানোর মতো জায়গার অভাব ঘটে। আর দলের জন্য ত্যাগ শিকার করেও পরিচয় দেওয়ার মতো কোনো পদ না থাকলে তারা ধরে নেন, দল তাকে চায় না। এটা এখন হবে না। নেতা-কর্মীদের এই মনোভাব দূর করতে চান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।

সর্বশেষ খবর