বুধবার, ৬ অক্টোবর, ২০২১ ০০:০০ টা

ভয়ংকর চট্টগ্রামের ২০ স্পট

চট্টগ্রাম-ঢাকা ও চট্টগ্রাম-সিলেট রুট

মুহাম্মদ সেলিম, চট্টগ্রাম

চলন্ত ট্টেনের যাত্রীদের জন্য ভয়ংকর হয়ে উঠেছে চট্টগ্রাম-ঢাকা ও চট্টগ্রাম-সিলেট রুটের চট্টগ্রাম অংশের ২০ স্পট। এসব স্পটে পাঁচ শ্রেণির মানুষ পাথর ছুড়ছে চলন্ত ট্রেনে। এতে প্রায়ই আহত হন কোনো না কোনো যাত্রী। ভয়ংকর হয়ে ওঠা এসব স্পটের পাথর নিক্ষেপকারীদের লাগাম টানতে নড়েচড়ে বসেছে রেলওয়ে পুলিশের চট্টগ্রাম অঞ্চল। পাথর নিক্ষেপকারীদের নিয়ন্ত্রণে আনতে তারা ক্র্যাশ প্রোগ্রামের উদ্যোগ নিয়েছে। রেলওয়ে চট্টগ্রাম অঞ্চলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী বলেন, ‘রেলে পাথর ছোড়া হয় এমন কয়েকটি স্পট চিহ্নিত করা হয়েছে। নিরাপত্তা জোরদারের পাশাপাশি স্পটগুলোয় সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গতকাল চিহ্নিত কয়েকটি স্পটে সচেতনতামূলক প্রচার চালানো হয়েছে। এ ছাড়া যারা ঢিল ছোড়ে তাদের প্রতিরোধে সব থানাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে গ্রেফতারেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’ রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের কুমিরা এলাকার সাব স্টেশন ইঞ্জিনিয়ার (ওয়ে) মোহাম্মদ সোলায়মান বলেন, ‘রেলওয়ের পাশে গড়ে ওঠা বস্তির লোকজন, মাদকাসক্তরাই মূলত ট্রেনে ঢিল ছোড়ে। রেলের ওয়েম্যান ও কি-ম্যানরা তাদের বাধা দিতে গেলেই মারধর করে।’ জানা যায়, রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের ঢাকা-চট্টগ্রাম ও চট্টগ্রাম-সিলেট রুটের চট্টগ্রামের পাহাড়তলী থেকে কুমিল্লা পর্যন্ত কমপক্ষে ২০টি স্পটে প্রতিদিনই যাত্রীবাহী ট্রেনে পাথর নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। যার মধ্যে পাহাড়তলী থেকে সীতাকুন্ড পর্যন্ত রয়েছে ১৪টি স্পট। এসব স্পটের মধ্যে রয়েছে বাড়বকুন্ড-সীতাকুন্ড সেকশনের মধ্যবর্তী স্থান, ভাটিয়ারী-কুমিরা সেকশনের মধ্যবর্তী স্থান, বারৈয়ারঢালা রেলওয়ে স্টেশন এলাকা, পাহাড়তলী রেলওয়ে স্টেশন এলাকা, ভাটিয়ারী রেলওয়ে স্টেশন এলাকা, ফৌজদারহাট-ভাটিয়ারী সেকশনের মধ্যবর্তী স্থান, কুমিরা রেলওয়ে স্টেশনের কিমি ২২/০-৮ এলাকা, রেলওয়ে কিমি ৩৭/৪-৩- এর মধ্যবর্তী স্থান, কুমিরা রেলওয়ে কিমি ২৩/৬-৭-৮ এলাকা, বারতাকিয়া রেলস্টেশন আউটার এলাকা, সীতাকুন্ড রেলস্টেশন রেলওয়ে কিমি ৩৮/০-৬ এলাকা, বারতাকিয়া রেলস্টেশনের কিমি ৪৯/০-৯ এলাকা, মস্তানগর রেলওয়ে কিমি ৬০/০ এলাকা এবং সীতাকুন্ড-বাড়বকুন্ড সেকশনের রেলওয়ে কিমি ৩৩ এলাকা। চিহ্নিত এসব এলাকায় কমপক্ষে পাঁচ শ্রেণির মানুষ প্রতিনিয়ত রেলে পাথর ছোড়ে। এদের মধ্যে রয়েছে নেশাগ্রস্ত, জুয়াড়ি, রেলওয়ের পাশে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা বস্তির লোকজন, ভবঘুরে ও রেলওয়ের পাশের আড্ডাবাজ লোকজন। রেলওয়ে চট্টগ্রাম অঞ্চলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী বলেন, ‘রেলে পাথর মারা রোধে রেলের পাশের এলাকায় জনসচেতনতামূলক প্রচারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’ ভাটিয়ারীর একটি মসজিদের ইমাম মাওলানা মামুনুর রশিদ বলেন, ‘কিছু অসৎ ব্যক্তি ট্রেনে ঢিল ছুড়ে জানমালের ক্ষতি করছে। তাদের প্রতিরোধে রেলপুলিশের পক্ষ থেকে সাহায্য চাওয়া হয়েছে। পুলিশকে সহায়তার অংশ হিসেবে জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রায়ই মসজিদে বক্তব্য দেওয়া হচ্ছে।’

সর্বশেষ খবর