বৃহস্পতিবার, ৭ অক্টোবর, ২০২১ ০০:০০ টা

লড়ছেন কিশোর গ্যাং লিডারসহ ২১ জন, সংঘাতের শঙ্কা

চসিকে কাউন্সিলর পদে উপনির্বাচন আজ

সাইদুল ইসলাম, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে (চসিক) কাউন্সিলর পদের একটি উপনির্বাচনে সংঘাতের আশঙ্কা করছেন সাধারণ ভোটার ও ব্যবসায়ীরা। আজ এ নির্বাচন ঘিরে ২১ জন কাউন্সিলর প্রার্থীর বেশির ভাগই আওয়ামী লীগ সমর্থিত। আছেন কিশোর গ্যাং লিডাররাও। প্রশাসনের শত নিরাপত্তার মধ্যেও শঙ্কায় দিনাতিপাত করছেন ওয়ার্ডের প্রতিটি এলাকার বাসিন্দারা। চসিকের ১৬ নম্বর চকবাজার ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদের এ নির্বাচনে পাঁচজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রে দায়িত্ব পালন করবেন। নির্বাচনী এলাকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় মোবাইল স্ট্রাইকিং ফোর্সের সঙ্গে দায়িত্ব পালন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা কঠোর নজরদারিতে থাকবেন বলে জানান প্রশাসনের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা। জানা গেছে, চসিকের ১৬ নম্বর চকবাজার ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ মনোনীত কাউন্সিলর সাইয়্যেদ গোলাম হায়দার মিন্টুর মৃত্যুতে শূন?্য হওয়া এ উপনির্বাচনে প্রার্থীর ২১ জনের মধ্যে ২০ জনই আওয়ামী লীগ সমর্থিত। তার মধ্যে একাধিক মামলার আসামি কিশোর গ্যাং লিডারও কারাগারে থেকে প্রার্থী হয়েছেন। এ নিয়ে নির্বাচনে সংঘাত-সংঘষের্র আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী। চকবাজার ওয়ার্ড কাউন্সিলর নির্বাচনের দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাচন কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘এ ওয়ার্ডের ১৫ কেন্দ্রের ৮৬ বুথে ইভিএমের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ করা হবে। প্রতিটি কেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পর্যাপ্তসংখ্যক সদস্য মোতায়েন থাকবেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে যাবতীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।’ চকবাজার থানার ওসি মোহাম্মদ ফেরদৌস বলেন, ‘সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। এরই মধ্যে প্রার্থীদের সঙ্গে পুলিশ ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বৈঠক হয়েছে। সবাই শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে সহযোগিতা করবেন।’ কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই চকবাজার ওয়ার্ডে কাউন্সিলর নির্বাচন হবে বলে জানান তিনি।

এদিকে গতকাল চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সুমনী আক্তার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়- দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেটরা হলেন ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রায়হান মেহেবুব, সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুজনচন্দ্র রায়, সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুরাইয়া ইয়াসমিন, সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাজী তাহমিনা সারমিন।

মোট ২১ প্রার্থীর ২০ জনই আওয়ামী লীগের। তারা হলেন- প্রয়াত কাউন্সিলর সাইয়্যেদ গোলাম হায়দার মিন্টুর স্ত্রী মেহেরুন্নিসা খানম, আলী আকবর হোসেন চৌধুরী মিন্টু, নাজিম উদ্দিন, মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসাইন, এ কে এম সালাউদ্দিন কাউসার লাভু, কাজী মো. ইমরান, আবুল কালাম চৌধুরী, মোহাম্মদ সেলিম রহমান, মোহাম্মদ নোমান চৌধুরী, শাহেদুল আজম, নুরুল হুদা, সামসের নেওয়াজ, মমতাজ খান, শওকত ওসমান, রুবেল সিদ্দিকী, আজিজুর রহমান, আলাউদ্দিন, জাবেদ, কায়সার আহম্মদ, নুর মোস্তফা টিনু, আবদুর রউফ। এ ওয়ার্ডে এবার ১৫ কেন্দ্রের মধ্যে ৮৬ বুথে ইভিএমে ভোট গ্রহণ করা হবে। ভোট ভোটার ৩২ হাজার ৪২ জন। পুরুষ ১৬ হাজার ২১৬ আর নারী ১৫ হাজার ৮২৫ জন।

সর্বশেষ খবর