শুক্রবার, ৮ অক্টোবর, ২০২১ ০০:০০ টা

অস্বাভাবিক সংক্রমণ বৃদ্ধি দুই বিভাগে

২০৪ দিনে সর্বনিম্ন মৃত্যু ♦ ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত ৬৬৩, মৃত্যু ১২

নিজস্ব প্রতিবেদক

করোনাভাইরাস সংক্রমণে ২০৪ দিনের মধ্যে সবচেয়ে কম মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে গত ২৪ ঘণ্টায়। তবে হঠাৎ করেই সংক্রমণ বেড়ে গেছে রংপুর ও বরিশাল বিভাগে। এক দিনের ব্যবধানে গত ২৪ ঘণ্টায় বরিশালে শনাক্তের হার বেড়েছে প্রায় চার গুণ ও রংপুরে বেড়েছে দ্বিগুণের বেশি। স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্যানুযায়ী, গতকাল সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় সারা দেশে মোট ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ১৭ মার্চের পর এটাই এক দিনে সবচেয়ে কম মৃত্যু। ওই দিন ১১ জনের মৃত্যুর খবর দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদফতর। গত এক দিনে ২২ হাজার ৩২১ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৬৬৩ জনের দেহে সংক্রমণ ধরা পড়েছে। শনাক্তের হার ২.৯৭ শতাংশ। তবে এই সময়ে বরিশাল ও রংপুর বিভাগে শনাক্তের হার ছিল ৬ শতাংশের বেশি। গত ২৪ ঘণ্টায় হঠাৎ করেই বরিশাল বিভাগে শনাক্তের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭.৬৪ শতাংশে, যা এক দিন আগে ছিল ২ শতাংশ। একই সময়ে রংপুর বিভাগে শনাক্তের হার বেড়ে হয়েছে ৬.৮৫ শতাংশ, যা এক দিন আগে ছিল ২.৮৭ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় অন্য বিভাগগুলোয় শনাক্তের হার ছিল যথাক্রমে ময়মনসিংহে ৩.৩৫ শতাংশ, ঢাকায় ২.৯২ শতাংশ, রাজশাহীতে ২.৮৪ শতাংশ, খুলনায় ২.৮৪ শতাংশ, সিলেটে ২.২৯ শতাংশ ও চট্টগ্রামে ২.১৯ শতাংশ।

গত এক দিনে হঠাৎ সংক্রমণ বেড়ে যাওয়া দুই বিভাগের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, বরিশালের বরগুনা জেলায় শনাক্তের হার ৩১.৭৬ শতাংশ, যা দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ। এ ছাড়া ঝালকাঠিতে এই হার ৯.৩৮ শতাংশ। তবে অন্য জেলাগুলোয় শনাক্তের হার ৪ শতাংশের নিচে। অন্যদিকে রংপুর বিভাগে শনাক্তের হার বেশি ঠাকুরগাঁও জেলায় ১০.৬২ শতাংশ, দিনাজপুরে ৮ শতাংশ, লালমনিরহাটে ৫.৫৫ শতাংশ ও পঞ্চগড়ে ৪.৬২ শতাংশ। অন্য জেলাগুলোয় ৪ শতাংশের নিচে।

গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত ১২ জনের মধ্যে ৬ জন নারী ও ৬ জন পুরুষ। সবার মৃত্যু হয়েছে হাসপাতালে। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৪ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৫ জন, রাজশাহী বিভাগে ১ জন ও খুলনা বিভাগে ২ জন মারা গেছেন। মৃতদের মধ্যে ৯ জনই ছিলেন ষাটোর্ধ্ব। এ ছাড়া ২ জন চল্লিশোর্ধ্ব ও ১ জনের বয়স ছিল ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে।

এদিকে রোগী শনাক্ত কমে যাওয়ায় অনেকটাই ফাঁকা হয়ে গেছে কভিড-১৯ ডেডিকেটেড হাসপাতালগুলো। গতকাল ঢাকা মহানগরীর সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালগুলোর ৫ হাজার ৪৬৬টি সাধারণ শয্যার মধ্যে ফাঁকা ছিল ৪ হাজার ৬০০টি। এছাড়া ৮০৩টি আইসিইউ’র মধ্যে ফাঁকা ছিল ৬৪১টি। চট্টগ্রাম মহানগরীর ৯১৭টি সাধারণ শয্যার মধ্যে ৭৬৯টি ও ৬৪টি আইটিইউ’র মধ্যে ৪৫টি ফাঁকা ছিল। সারা দেশের ১৪ হাজার ৯৫৩টি সাধারণ শয্যার মধ্যে ফাঁকা ছিল ১৩ হাজার ১০০টি শয্যায়। ১ হাজার ২৫২টি আইসিইউ’র মধ্যে ফাঁকা ছিল ৯৪৫টি।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর