শুক্রবার, ৮ অক্টোবর, ২০২১ ০০:০০ টা

মাদকাসক্ত সন্তানকে দ্রুত চিকিৎসা দিন : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

কারও সন্তান মাদকাসক্ত হলে দ্রুত চিকিৎসা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেন, ‘আপনাদের সন্তান যখন মাদকাসক্ত হয় তখন আপনারা প্রকাশ করতে চান না। ভাবেন সমাজের মানুষ কী বলবে। কিন্তু যখন একটা ক্ষতি হয়ে যাবে তখন কেঁদেও কূল পাবেন না। ফলে সন্তান মাদকাসক্ত হওয়ার শুরুতেই তাকে চিকিৎসার দোরগোড়ায় নিয়ে আসুন।’ গতকাল দুপুরে ঢাকার কেরানীগঞ্জে বসুন্ধরা রিভারভিউ প্রকল্পে বাংলাদেশ পুলিশ কল্যাণ ট্রাস্টের মাদকাসক্তি নিরাময় ও মানসিক স্বাস্থ্য পরামর্শ কেন্দ্র ‘ওয়েসিস’ উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যদি ৮০ লাখ মাদকাসক্ত থেকে ৮ লাখে নামিয়ে আনতে পারি এটাও আমাদের একটা সফলতা বয়ে আনবে। দেশের জেলখানায় যে আসামি রয়েছে তার মধ্যে দ্বিগুণের বেশি মাদক মামলার আসামি। জঙ্গি, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। মাদকের বিরুদ্ধেও প্রধানমন্ত্রী জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন। সে যুদ্ধেই আজ আমরা অবতীর্ণ। এ যুদ্ধে আমাদের জয়ী হতেই হবে। না হলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে আমরা রক্ষা করতে পারব না।’ অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, বর্তমান আইজিপি বাংলাদেশ পুলিশকে একটি মর্যাদার আসনে বসিয়েছেন। পুলিশ সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমন এবং সমাজে নিরাপত্তা প্রদানের ক্ষেত্রে বড় অবদান রাখছে। করোনা মোকাবিলায় সম্মুখযোদ্ধা হিসেবেও অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে পুলিশ। বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী ও স্থানীয় সংসদ সদস্য নসরুল হামিদ বিপু মাদকাসক্তদের চিকিৎসায় ওয়েসিসের মতো একটি আধুনিক কেন্দ্র স্থাপন করায় আইজিপির প্রশংসা করেন। স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, মাদকাসক্তদের রোগের নিরাময় করলেই হবে না। এর সঙ্গে সমাজকে সম্পৃক্ত করতে হবে।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. আজিজুল ইসলাম বলেন, মাদকাসক্তদের চিকিৎসা করা পুলিশের দায়িত্ব নয়। তবু পুলিশ ওয়েসিসের মতো একটি ব্যতিক্রমী প্রতিষ্ঠান স্থাপন করায় আইজিপিকে ধন্যবাদ। সভাপতির বক্তব্যে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ও বাংলাদেশ পুলিশ কল্যাণ ট্রাস্টের চেয়ারম্যান ড. বেনজীর আহমেদ বলেন, ‘ধনী-গরিব নির্বিশেষে মাদকাসক্ত সদস্যদের নিয়ে পরিবারের দুর্ভোগের করুণ চিত্র আমি দেখেছি। সমাজের প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিদের গোপনে চোখের পানি ফেলতে দেখেছি। অনেকের মতে বাংলাদেশে মাদকাসক্তের সংখ্যা ৮০ লাখ। কেউ কেউ বলেন এ সংখ্যা কোটি ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে সরকারি-বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৭ হাজারের চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে। তাহলে কত বছরে আমরা তাদের চিকিৎসা দিতে পারব। এসব দিক বিবেচনা করেই একটি আধুনিক মাদকাসক্তি নিরাময় ও মানসিক স্বাস্থ্য পরামর্শ কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।’ অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. গোলাম রব্বানী, ডা. অরূপ রতন চৌধুরী, ডা. মোহিত কামাল ও ঢাকার জেলা প্রশাসক মো. শহীদুল ইসলাম।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর