শুক্রবার, ৮ অক্টোবর, ২০২১ ০০:০০ টা

১০ হাজার টাকার ৯টি চেক দিয়ে আড়াই কোটি টাকা লোপাট

যশোর শিক্ষা বোর্ডে চেক জালিয়াতি

নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোর

যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড থেকে ৯টি চেকের মাধ্যমে আয়কর ও ভ্যাট বাবদ ১০ হাজার ৩৬ টাকা ইস্যু করা হয়। কিন্তু ভেনাস প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং এবং শাহী লাল স্টোর নামের দুটি প্রতিষ্ঠান এ ৯টি চেক ব্যবহার করে শিক্ষা বোর্ডের অ্যাকাউন্ট থেকে ২ কোটি ৫০ লাখ ৪৪ হাজার ১০ টাকা তুলে নিয়েছে। ২০২০-২১ অর্থবছরের আয়-ব্যয় যাচাইয়ের জন্য ব্যাংক হিসাব মিল করতে গিয়েই বোর্ডের অডিট শাখা এই জালিয়াতির প্রমাণ পায়। সঙ্গে সঙ্গে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অডিট টিমের পক্ষ থেকে যশোর বোর্ডের সচিব বরাবর একটি চিঠি দেওয়া হয়।

ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, ২০২০-২১ অর্থবছরের আয়-ব্যয় বোর্ডের সব অ্যাকাউন্টের স্টেটমেন্টের সঙ্গে মিল করতে গিয়ে বড় ধরনের অমিল ধরা পড়ে। বোর্ডের ব্যয় অ্যাকাউন্ট এসটিডি-২৩২৩২৪০০০০০২৪ হিসাব খাতে ৯টি চেক পরিশোধিত হয়েছে, যা বোর্ডে সংরক্ষিত মুড়ি বইয়ের চেকে উল্লিখিত টাকার পরিমানের সঙ্গে ব্যাংকের পরিশোধিত টাকার মিল নেই। রেজিস্ট্রারের সঙ্গে মেলাতে গিয়ে দেখা যায়, বোর্ডে সংরক্ষিত মুড়ি বইয়ের ওই ৯টি চেকের তারিখ অনুযায়ী হিসাব শাখার ব্যয় রেজিস্ট্রারের ব্যয় বিবরণীতে ভ্যাট ও আয়কর বাবদ সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়ার জন্য চেকগুলো ইস্যু করা হয়। এই চেকগুলো সরকারি কোষাগারে পরিশোধিত হয়নি। অথচ দুটি প্রতিষ্ঠান চেকগুলোর বিপরীতে ২ কোটি ৫০ লাখ ৪৪ হাজার ১০ টাকা উত্তোলন করেছে। এই টাকার বিপরীতে প্রতিষ্ঠান দুটি বোর্ডে কোনো মালামাল সরবরাহ করেছে কি না, তার কোনো তথ্যও বোর্ড স্টোরে নেই। ২০২০ সালের ৩০ জুলাই থেকে চলতি বছরের ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এই ৯টি চেক দিয়ে এসব টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। অডিট রিপোর্টে বলা হয়েছে, এ ৯টি চেক ছাড়াও আরও জালিয়াতি আছে কি না তা যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে যশোর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মোল্লা আমির হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘বোর্ডের ২০২০-২১ অর্থবছরের আয়-ব্যয় হিসাব করতে গিয়ে ৯টি চেক জালিয়াতির বিষয়ে আমরা জানতে পেরেছি। এ ব্যাপারে আমরা তদন্ত করব, সাধারণ ডায়েরি করব, আইনের আশ্রয় নেব। আশা করছি, এর সঙ্গে কারা জড়িত তা বেরিয়ে আসবে’।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর