শুক্রবার, ৮ অক্টোবর, ২০২১ ০০:০০ টা

প্রাইভেট অ্যাম্বুলেন্সের সিন্ডিকেট মুক্ত হলো ওসমানী হাসপাতাল

শাহ্ দিদার আলম নবেল, সিলেট

প্রাইভেট অ্যাম্বুলেন্সের সিন্ডিকেট মুক্ত হলো ওসমানী হাসপাতাল

ওসমানী হাসপাতাল প্রাঙ্গণ জুড়ে ছিল সারি সারি অ্যাম্বুলেন্স। জরুরি বিভাগের সামনে থেকে শুরু করে মূল বিল্ডিংয়ের সামনে ছিল প্রাইভেট অ্যাম্বুলেন্সের অবৈধ স্ট্যান্ড। কয়েক শ অ্যাম্বুলেন্স দাঁড়িয়ে থাকত হাসপাতাল প্রাঙ্গণে। প্রাইভেট অ্যাম্বুলেন্সের চালকরা রোগী ও স্বজনদের থেকে আদায় করতেন ভাড়া। তাদের দৌরাত্ম্যের কারণে হাসপাতালের সরকারি অ্যাম্বুলেন্সের সেবাবঞ্চিত ছিল সাধারণ মানুষ। দীর্ঘদিনের এ সিন্ডিকেট গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে অবশেষে। গতকাল হাসপাতালের ভিতর থেকে অবৈধ অ্যাম্বুলেন্স স্ট্যান্ড ও পার্কিং উচ্ছেদ করা হয়েছে।

স্বল্প ভাড়ায় মেলে ওসমানী হাসপাতালের সরকারি অ্যাম্বুলেন্স। কিলোমিটারপ্রতি নেওয়া হয় মাত্র ১০ টাকা। কিন্তু গড়ে ওঠা সিন্ডিকেটের কারণে সরকারি অ্যাম্বুলেন্সের এ সেবা পাচ্ছিলেন না রোগীরা। রোগীদের নানাভাবে প্রলুব্ধ করে প্রাইভেট অ্যাম্বুলেন্সের চালকরা বাগিয়ে নিতেন। আদায় করতেন মনগড়া ভাড়া। এ নিয়ে রোগীদের অভিযোগের শেষ নেই। অ্যাম্বুলেন্সের সিন্ডিকেটটি এতই শক্তিশালী যে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অনেক সময় উদ্যোগ নিয়েও তাদের উচ্ছেদ করতে পারেননি। উপরন্তু হাসপাতাল প্রাঙ্গণকে তারা নিজেদের স্ট্যান্ড বানিয়ে ব্যবহার করছিল। সারিবদ্ধভাবে কয়েক শ অ্যাম্বুলেন্স দাঁড় করিয়ে রাখা হতো হাসপাতালের সামনে। মঙ্গলবার সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভারত সরকারের দেওয়া দুটি আইসিইউ অ্যাম্বুলেন্স হস্তান্তর করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে হাসপাতালের সরকারি অ্যাম্বুলেন্স অব্যবহৃত পড়ে থাকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মন্ত্রী। তিনি সাধারণ মানুষকে সরকারি অ্যাম্বুলেন্স ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করার পরামর্শ দেন। এর পরই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ প্রাইভেট অ্যাম্বুলেন্স সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেন। অবশেষে গতকাল সকালে পুলিশ সঙ্গে নিয়ে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটে মো. মেজবাহ উদ্দিন অভিযান চালান ওসমানী হাসপাতাল প্রাঙ্গণে। অভিযানকালে হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ব্রায়ান বঙ্কিম হালদারও উপস্থিত ছিলেন। এ সময় হাসপাতাল প্রাঙ্গণ থেকে বের করে দেওয়া হয় সব প্রাইভেট অ্যাম্বুলেন্স।

এ ছাড়া প্রধান ফটকের ভিতরে দীর্ঘদিনে গড়ে ওঠা অবৈধ সিএনজি অটোরিকশা ও মোটরসাইকেল পার্কিং স্ট্যান্ডও উচ্ছেদ করা হয়। দীর্ঘদিন থেকে হাসপাতালের প্রধান ফটকের ভিতরে অবৈধ স্ট্যান্ড গড়ে তুলে টিকিট কেটে পার্কিং ফি আদায় করছিল একটি মহল। এমনকি তারা হাসপাতালের ভিতরে পার্কিং শেডও তৈরি করে। গতকালের অভিযানে তা-ও ভেঙে ফেলা হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর