শনিবার, ৯ অক্টোবর, ২০২১ ০০:০০ টা

আত্মসমর্পণ করা বনদস্যুরা এখন চোরা শিকারি

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা

খুলনার কয়রা সুন্দরবন এলাকায় আত্মসমর্পণ করা বনদস্যুরা আবারও নানা অপরাধে জড়াচ্ছেন। এর মধ্যে চোরা শিকারি হয়ে বন্যপ্রাণী হত্যা ও পাচারে যুক্ত হয়েছেন কেউ কেউ। গতকাল ভোররাতে কয়রার মহেশ্বরীপুর প্রত্যন্ত তেঁতুলতলার চর এলাকা থেকে ৪২ কেজি হরিণের মাংসসহ আবদুর রহমান সবুজ নামে একজনকে গ্রেফতারের পর বিষয়টি আলোচনায় আসে। জানা যায়, হরিণের মাংস পাচারের সঙ্গে র‌্যাবের কাছে আত্মসমর্পণ করা বনদস্যু হাবিবুর রহমান ওরফে বাছা জড়িত। ঘটনাস্থলে তাকে আটকাতে গেলে পালিয়ে যান। পুলিশ জানায়, সুন্দরবনঘেঁষা তেঁতুলতলার চর এলাকায় হরিণের মাংস পাচারের খবর পেয়ে পুলিশ অভিযান চালায়। এ সময় দুটি বস্তা নিয়ে তিনজন পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। তবে ঘটনাস্থলে সবুজকে আটকের পর তার তথ্য অনুযায়ী পাশের একটি ঘের থেকে প্লাস্টিকের দুটি বস্তায় ৪২ কেজি হরিণের মাংস উদ্ধার হয়। গ্রাম পুলিশ সদস্যরা জানায়, আত্মসমর্পণের পর প্রশাসনের সঙ্গে ভালো সম্পর্কের আড়ালে বনদস্যু হাবিবুর রহমান ও তার সহযোগীরা জঙ্গলে ফাঁস দিয়ে হরিণ শিকার করে। তারা হরিণের মাংস এনে বিক্রি বা পাচার করে থাকে। ঘটনাস্থলে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে হাবিবুর রহমান ছুরির ভয় দেখিয়ে পালিয়ে যান। কয়রা থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মো. সোহাইল জানান, রাস্তায় কাদামাটির দাগ অনুসরণ করে সবুজকে আটক করা হয়। সবুজ জানান, হরিণের মাংস নিয়ে একজন ওই স্থানে আসার খবর পেয়ে তারা সেখানে যায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ওই ব্যক্তি মাংস রেখে পালিয়ে গেলে তারা তা লুকিয়ে রাখে। স্থানীয়রা জানান, ২০১৭ সালে বনদস্যু আলীম বাহিনীর সদস্য হাবিবুর রহমান বাছা র‌্যাবের কাছে আত্মসমর্পণ করেন।

এরপর স্বাভাবিক জীবনে ফেরার অঙ্গীকার করলেও নানা অপরাধে জড়িয়েছেন। কয়রা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রবিউল হোসেন জানান, এ ঘটনায় বন্যপ্রাণী নিধন আইনে মামলা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর