মঙ্গলবার, ১২ অক্টোবর, ২০২১ ০০:০০ টা

সিলেটে নৌকার মাঝি শিবিরের সাবেক সেক্রেটারি!

শাহ্ দিদার আলম নবেল, সিলেট

সিলেট জেলার তিন উপজেলার ১৫ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে। গত রবিবার রাতে দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণার পরই কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ রনিখাই ইউনিয়ন পরিষদে নৌকার প্রার্থী মনোনীত হওয়া মো. ইকবাল হোসেন ইমাদকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তোলপাড় শুরু হয়। আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা ইমাদকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রশিবিরের সাবেক সেক্রেটারি উল্লেখ করে দলীয় সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে প্রার্থী বদলের দাবি জানান। ইমাদ উপজেলা ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি ছিলেন বলে অভিযোগ তোলেন দলীয় মনোনয়নবঞ্চিত সাইফুল ইসলাম। তবে ইমাদ বলেন, উপজেলার অপর এক ইকবাল হোসেন ইমাদ শিবিরের রাজনীতি করেন। নামের মিল থাকায় একটি মহল তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে।   উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নূর মিয়া জানান, উপজেলার বর্ণি এলাকায় ইকবাল হোসেন ইমাদ নামের একজন শিবিরের সেক্রেটারি ছিলেন। কিন্তু নৌকা প্রতীক পাওয়া ইমাদের বাড়ি খাগাইল। তিনি বা তার পরিবারের কেউ জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নন। নৌকার প্রার্থী ইমাদ এক সময় ফুলতলীর পীরের ছাত্রসংগঠন তালামীয করতেন বলে তিনি শুনেছেন। এখন তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয়। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন খান বলেন, ইমাদের বিরুদ্ধে কেউ কেউ শিবির-সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ তুললেও কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারছেন না। তৃণমূলের ভোটে ইমাদ বিজয়ী হয়ে নৌকার প্রার্থী হয়েছেন। তার বিরুদ্ধে মনোনয়নবঞ্চিত যে নেতা অভিযোগ করছেন, তিনিও বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগে এসেছেন।

উপজেলা আওয়ামী লীগের একাধিক নেতার দাবি, ইমাদ ২০০৬-০৭ মেয়াদে উপজেলা ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি ছিলেন। তার সময় শিবিরের উপজেলা সভাপতি ছিলেন আবদুস শাকুর। ২০১৬ সাল পর্যন্ত তিনি জামায়াত-শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ২০১৮ সালের দিকে তিনি আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশ করেন। তবে ইমাদ বলেন, ২০০৭ সালে তিনি যুক্তরাজ্যে চলে যান। ২০১৬ সালে দেশে ফিরে তিনি আওয়ামী লীগের কর্মী হিসেবে কাজ শুরু করেন। ২০১৮ সালের নির্বাচনে তিনি দলীয় প্রার্থী ইমরান আহমদের পক্ষেও কাজ করেছেন। বিদেশ যাওয়ার আগে তিনি কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না।

 

সর্বশেষ খবর