মঙ্গলবার, ১২ অক্টোবর, ২০২১ ০০:০০ টা

পদ্মফুলে মুগ্ধতা

পাবনা প্রতিনিধি

পদ্মফুলে মুগ্ধতা

গ্রামের এক পাশে কলমীগাড়া বিল। চারপাশে ধানখেত। মাঝের বেশ কিছু অংশজুড়ে পদ্মফুলের সমারোহ। সবুজ পাতার মাঝে মাথা নুইয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে সাদা-গোলাপি রঙের একেকটি পদ্ম। শেষ বিকালে যেন মোহনীয় আবেশ তৈরি হয় বিলে। আর এই সময়ে প্রকৃতিপ্রেমীদের মধ্যে মুগ্ধতা ছড়ায় পদ্মবিল। পাবনার চাটমোহর উপজেলার মূলগ্রাম ইউনিয়নের সুইগ্রামে অবস্থিত কলমীগাড়া বিল। উপজেলা সদর থেকে প্রায় ৮ কিলোমিটার দূরে সবুজে ঘেরা গ্রামের বিলটিতে। সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত এ দুটি সময়ে পদ্মফুলের সৌন্দর্য উপভোগ্য হয়ে ওঠে। পদ্মফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে এলাকাবাসীর পাশাপাশি প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ আসেন বিলের পাড়ে। সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, গ্রামের শেষ প্রান্তে কলমীগাড়া বিল। একটি বাড়ির মাঝখান দিয়ে বিলের পাড়ে ধানখেতের কিনারে গিয়ে দেখা গেল ডিঙি নৌকায় মাছ শিকারে ব্যস্ত স্থানীয় কৃষক জহির আলী। তার ডিঙি নৌকায় বিলের মাঝখানে গেলে হৃদয় হারিয়ে যায় ভালো লাগার অন্য জগতে। চারপাশে ফুটেছে অনেক পদ্মফুল। কোনোটি আবার নিজেকে গুটিয়ে রেখেছে। হাত দিয়ে ছুঁয়ে দেখলে শরীরে শিহরণ খেলে যায়। বিলের চারপাশে সবুজ ধানখেত আর মাঝখানে সাদা-গোলাপি রঙের পদ্মফুল  তৈরি করেছে অন্য রকম সৌন্দর্য। সূর্যাস্তের সঙ্গে পদ্মফুলের রং-রূপ তৈরি করে মোহনী আবেশ। তবে কিছু সমস্যাও রয়েছে পদ্মফুলের সৌন্দর্যের মাঝে।

 বিলে যাতায়াতের  তেমন ব্যবস্থা নেই। ডিঙি নৌকায় দুজনের বেশি ওঠা যায় না। আর প্রকৃতিগতভাবে বেড়ে ওঠা পদ্মবিলে কচুরিপানা ও অন্যান্য আগাছা রয়েছে।  যেগুলো পরিকল্পিতভাবে অপসারণ করা গেলে সৌন্দর্য আরও উপভোগ্য হবে।

সুইগ্রামের বাসিন্দারা জানান, ‘কলমীগাড়া বিলে সাধারণত বর্ষা মৌসুমে পদ্মফুল ফোটা শুরু হয়। শরৎকালে বেশি ফোটে। এখানে কেউ পদ্মফুলের চাষ করে না। বছরের পর বছর ধরে প্রাকৃতিকভাবে এই বিলে পদ্মফুল ফুটে আসছে। বিলের নিচু এলাকার কিছু জমি চাষাবাদের আওতায় আসায় পদ্মবিলের পরিধি অতীতের চেয়ে এখন অনেক কমে গেছে।’

পদ্মফুল দেখতে আসা দর্শনার্থীরা জানালেন, গ্রাম-বাংলায় পদ্মফুল বেশ পরিচিত। খোঁজ পেয়ে দেখতে এসেছি। বিলে পদ্মফুল দেখে মুগ্ধ হলাম। তবে বিলটিকে পরিকল্পিতভাবে সাজানো গেলে দর্শনার্থী আরও বাড়বে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর