দীর্ঘ আট দিন পর অবশেষে না-ফেরার দেশে চলে গেল পেট জোড়া লাগা দুই কন্যাশিশু হালিমা ও ফাতেমা। নওগাঁর পোরশায় জন্ম হওয়া শিশু দুটি রবিবার সন্ধ্যায় পোরশা ইসলামী ল্যাব হাসপাতালে মারা যায়। শিশু দুটির বাবা জাহাঙ্গীর আলম উপজেলার গাঙ্গুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা। পেশায় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। ইসলামী ল্যাব হাসপতালের পরিচালক ডা. নূরনবী জানান, উপজেলার সারাইগাছী ইসলামী ল্যাব অ্যান্ড হসপিটালে জাহাঙ্গীর আলমের স্ত্রী ফিরোজা বেগমের জন্ম দেওয়া জোড়া লাগা যমজ শিশু দুটি রবিবার সন্ধ্যায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। যদিও তাদের পৃথক করার অপারেশন নিয়ে বড় চিন্তা ছিল তবু শিশু দুটিকে নিয়ে বাবা-মা খুশি ছিলেন। প্রথম সন্তান হওয়ায় তাদের আগলে রেখেছিলেন এবং আদর করে নাম রেখেছিলেন হালিমা খাতুন ও ফাতেমা খাতুন। শিশু দুটির মৃত্যুতে তাদের বাবা-মা ভেঙে পড়েছেন। জাহাঙ্গীর আলম জানান, শিশু দুটির জন্ডিস দেখা দিয়েছিল। চিকিৎসাও চলছিল। মারা যাওয়ার আগ পর্যন্ত অক্সিজেন দেওয়া ছিল।
২ অক্টোবর সকালে সারাইগাছী ইসলামী ল্যাব অ্যান্ড হাসপাতালে জোড়া লাগা যমজ দুই মেয়েশিশু জন্ম নেয়। শিশু দুটির হাত, পা, চোখ, নাক, কান ও মুখ ঠিক থাকলেও বুক ও পেট জোড়া লাগানো ছিল।