বুধবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২১ ০০:০০ টা
এ ক ন জ রে

ফুলেল শ্রদ্ধা শেষে বনানী কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত ড. ইনামুল হক

সাংস্কৃতিক প্রতিবেদক

বনানী কবরস্থানে গতকাল চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন বুয়েটের সাবেক শিক্ষক নাট্যজন ড. ইনামুল হক। এর আগে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে তাঁর লাশে সর্বস্তরের মানুষ ফুলেল শেষ শ্রদ্ধা জানায়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা হলেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, ঢাকা দক্ষিণ সিটি মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, আওয়ামী লীগের পক্ষে অসীম কুমার উকিল ও মেহের আফরোজ চুমকি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, নাট্যজন আবুল হায়াৎ, নাসিরউদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু, মোমেনা চৌধুরী, নাট্যকার বৃন্দাবন দাস, অভিনেতা মীর সাব্বির, ফারুক আহমেদ, নির্মাতা অরণ্য আনোয়ার, নাতাশা হায়াৎ প্রমুখ। প্রাতিষ্ঠানিক ও সাংগঠনিকভাবে শেষ শ্রদ্ধা জানায় মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট, বাংলাদেশ বেতার-টেলিভিশন শিল্পী সংস্থা, বাঙালি সাংস্কৃতিক বন্ধন, আওয়ামী লীগের সংস্কৃতিবিষয়ক উপকমিটি, মহিলা সমিতি, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, শিশু একাডেমি, টেলিভিশন নাট্যকার সংঘ, ফেডারেশন অব টেলিভিশন প্রফেশনালস অর্গানাইজেশনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান। তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ড. ইনামুল হক একাধারে শিক্ষাবিদ, অভিনেতা, পরিচালক ও প্রযোজক। তিনি একজন অত্যন্ত সজ্জন মানুষ ছিলেন। তিনি দীর্ঘ ৪৩ বছর বুয়েটে শিক্ষকতা করেছেন। শিক্ষকতার পাশাপাশি আমাদের সাংস্কৃতিক অঙ্গন সমৃদ্ধ করে গেছেন। তিনি বহু কালজয়ী নাটকের স্রষ্টা ও অভিনেতা। তাঁর মতো এমন গুণী মানুষের হঠাৎ প্রস্থান সত্যিকার অর্থেই জাতির জন্য বেদনার।

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা যে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার চেষ্টা করছি সে জায়গায় তিনি পুরোধা ব্যক্তি ছিলেন। আজীবন তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ লালন করেছেন।

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আমাদের দেশ একটা কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এ কঠিন সময়ে হাসতে ভুলে গেছি। ইনামুল হক মানুষকে সব সময় আনন্দ দিয়েছেন। তিনি হাসতে শিখিয়েছেন। তাঁর প্রস্থানে দুঃখের মধ্যে সামান্যটুকু আনন্দ কে দেবে আমি জানি না।

অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ড. ইনামুল হক শুধু একজন অধ্যাপকই নন, একজন সমাজকর্মী, সমাজ সংস্কারক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব। তিনি চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন।

ড. ইনামুল হকের মেয়ে হৃদি হক বলেন, তাঁর ভাবনায়, চিন্তায়, চেতনায় ছিল বাংলাদেশ ও মানুষ। এর বাইরে কিছু ছিল না। তিনি নাট্যগুরু ও নাট্যপ্রাণ মানুষ। সারা জীবন নাটক, থিয়েটার, শিল্পচর্চা, সেই গণআন্দোলনের সময় থেকে শেষ দিন পর্যন্ত বাবা অনুবাদের কাজ করে গেছেন। যে ভালোবাসা তিনি মানুষকে দিয়েছিলেন, মানুষও তাঁকে সে ভালোবাসা দিচ্ছেন।

শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর দুপুর ১টায় ইনামুল হকের লাশ নেওয়া হয় তাঁর দীর্ঘদিনের কর্মস্থল বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট)। সেখানে বাদ জোহর দ্বিতীয় ও শেষ জানাজা শেষে বনানী কবরস্থানে তাঁকে সমাহিত করা হয়।

১১ অক্টোবর সোমবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে বেইলি রোডের বাসায় হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার পর কাকরাইলের ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর