সোমবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২১ ০০:০০ টা

ঋণের টাকা পরিশোধ করতেই শিশু অপহরণ

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকার আশুলিয়া থেকে অপহৃত সাড়ে তিন বছরের শিশু আফিয়াকে সিরাজগঞ্জ থেকে উদ্ধারসহ অপহরণকারীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৪। অন্যদিকে ১৫ অক্টোবর গাজীপুরের কালীগঞ্জ এলাকা থেকে ইজিবাইকচালক সাইফুল ইসলাম হত্যার সঙ্গে জড়িত সাতজনকে রাজধানীর উত্তরখান ও গাজীপুরের পুবাইল থেকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১-এর একটি দল। এ সময় হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছুরি ও ছিনতাই করা ইজিবাইকসহ অন্যান্য আলামত উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন র‌্যাব-১-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন।

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব-৪-এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মোজাম্মেল হক বলেন, ভিকটিম শিশুটির বাবা আবুল কালাম আজাদ (২৮) ও মা সোনিয়া বেগম (২৭) দুজনই গার্মেন্টে চাকরি করার কারণে আফিয়াকে দীর্ঘদিনের পরিচিত আনোয়ারা নামের এক বৃদ্ধার কাছে রেখে অফিসে যেতেন। অপহরণকারী রানা আহমেদ বাকি (৩৪) তাদের পাশেই ভাড়া থাকতেন। ২১ অক্টোবর বেলা ১টার দিকে আশুলিয়া থানার কবরস্থান সড়কের পল্লী বিদ্যুৎ এলাকা থেকে সাড়ে তিন বছরের শিশু আফিয়া অপহৃত হয়। পরে শিশুটির বাবা-মায়ের কাছে ৪ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। নইলে তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে র‌্যাব-৪ বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে নেয়। পরে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর থানাধীন ১০ নম্বর কৈজুরি ইউপির ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাঁধ-সংলগ্ন স্লুইসগেট এলাকার একটি বাসা থেকে আফিয়াকে উদ্ধারসহ অপহরণকারী রানাকে গ্রেফতার করা হয়।

তিনি বলেন, অপহরণকারী রানা ২০০৯ সালে জমি-জমা বিক্রি ও ঋণ করে দুবাই যান। তবে সঠিক কাগজপত্র না থাকায় ২৩ দিন জেল খেটে দেশে ফিরে আসেন তিনি। দেশে ফিরে আসার পর থেকে তিনি রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে ঋণের টাকা পরিশোধ করতে পারছিলেন না। ঋণের ৩/৪ লাখ টাকা পরিশোধের জন্য তিনি এই অপহরণের পরিকল্পনা করে বলে স্বীকার করেছেন।

এদিকে গতকাল র‌্যাব-১ কার্যালয়ে ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন বলেন, সাইফুলের খুনিরা একটি সংঘবদ্ধ অটোরিকশা ছিনতাই চক্রের সক্রিয় সদস্য। গ্রেফতার আজিজুল ইসলাম, ইমন ও পলাতক জুয়েল অটোরিকশা চালকের হাত-পা বেঁধে ও মুখে স্কচটেপ লাগিয়ে ইজিবাইক ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা করে। সে অনুযায়ী বিজয় ও হৃদয় ওরফে মাসুমকে ফোন করে রাজধানীর উত্তরখানের ময়নারটেকে আসতে বলে। পরে তারা একত্র হয়ে ময়নারটেক থেকে হরদি যাওয়ার জন্য ভিকটিম সাইফুলের ইজিবাইক ২০০ টাকায় ভাড়া করে। পূর্বাচল উপশহরের সেক্টর-২৬, রোড-২০২ এর ৫৮ নম্বর ব্রিজ থেকে ১০০ গজ দক্ষিণে ফাঁকা জায়গায় রাস্তার ওপর পৌঁছামাত্র জুয়েল তার সঙ্গে থাকা ছুরি দিয়ে সাইফুলের গলায় পোচ দেয়। এতে সে নিচে পড়ে যায়। পরে আজিজুল তার কাছে থাকা ছুরি দিয়ে এবং জুয়েলের ছুরি নিয়ে ইমন ভিকটিমের শরীরের পেছনে দুটি করে পোচ দেয়। সাইফুল মাটিতে লুটিয়ে পড়লে জুয়েল তার ব্যবহৃত মোবাইলফোন নিয়ে নেয় ও ইমন অটোরিকশাটি চালিয়ে গাজীপুরের পুবাইল মীরের বাজারে দিকে পালিয়ে যায়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর