বুধবার, ২৭ অক্টোবর, ২০২১ ০০:০০ টা

সিলেটে ‘শূন্যের কোঠায়’ করোনা সংক্রমণ

খালি পড়ে আছে কভিড হাসপাতাল ও ইউনিট

শাহ্ দিদার আলম নবেল, সিলেট

সিলেটে ক্রমেই কমে আসছে করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু। নমুনা পরীক্ষায় আক্রান্ত শনাক্তের হার প্রায় ‘শূন্যের কোঠায়’ ঠেকছে। বেশির ভাগ দিন মৃত্যুহীনভাবেই কাটাচ্ছে সিলেট বিভাগ। সংক্রমণ কমায় কভিড ডেডিকেটেড হাসপাতাল ও অন্যান্য হাসপাতালের কভিড ইউনিটগুলো হয়ে পড়েছে রোগীশূন্য। সিলেটের কভিড ডেডিকেটেড তিনটি হাসপাতালের মধ্যে দুটিতে ভর্তি নেই কোনো রোগী। একটিতে আছেন মাত্র একজন। কভিড রোগীদের জন্য বরাদ্দকৃত ৭৫০ আসনের বিপরীতে গতকাল পর্যন্ত রোগী ভর্তি ছিলেন মাত্র ১৪ জন। স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্র জানান, সিলেটের প্রথম কভিড ডেডিকেটেড শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে শয্যা সংখ্যা ১০০। একসময় এ হাসপাতালটিতে রোগীর তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না। এ হাসপাতালের মতো কভিড ডেডিকেটেড ৩১ শয্যার খাদিমপাড়া ও ৩১ শয্যার দক্ষিণ সুরমা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সও ছিল রোগীতে পূর্ণ। ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৩৫০ শয্যা কভিড রোগীর জন্য বরাদ্দ দিয়েও সামাল দেওয়া যাচ্ছিল না। সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল মিলে কভিড রোগীদের জন্য বরাদ্দ ছিল প্রায় ৭০০ শয্যা। এর পরও হাসপাতালে সিট না পেয়ে অনেকে ঘুরেছেন এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে। কভিড রোগীদের জন্য হাসপাতালের সিট হয়ে ওঠে সোনার হরিণ। সরকারি-বেসরকারি কোনো হাসপাতালে সিট না পেয়ে অক্সিজেন আর চিকিৎসার অভাবে মারা যান অনেকে। গতকাল পর্যন্ত সিলেটের সব সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে করোনা রোগী ভর্তি ছিলেন মাত্র ১৪ জন। এদিকে নমুনা পরীক্ষায় দিন দিন করোনা আক্রান্ত শনাক্তের সংখ্যাও কমে আসছে। গেল প্রায় ১০ দিন ধরে নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় আক্রান্ত শনাক্তের হার ১ শতাংশের নিচে রয়েছে।

গতকাল সকাল ৮টা থেকে পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় সিলেট বিভাগের চার জেলার ৭৭৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। আক্রান্ত শনাক্ত হন মাত্র তিনজন। এর মধ্যে সিলেটের একজন ও মৌলভীবাজারের দুজন। বাকি দুই জেলায় কোনো আক্রান্ত শনাক্ত হয়নি। আক্রান্ত শনাক্তের পাশাপাশি কমছে মৃত্যুও। সিলেট বিভাগে এক দিনে সর্বোচ্চ ২২ জনের মৃত্যুর রেকর্ড হলেও এখন বেশির ভাগ দিনই মৃত্যুহীনভাবে পার হচ্ছে। তবে সংক্রমণ কমলেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের সিলেট বিভাগীয় পরিচালক ডা. হিমাংশু লাল রায় বলেন, ‘আমাদের দেশে করোনা সংক্রমণ কমলেও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ফের বাড়তে শুরু করেছে। ভারতে করোনার নতুন আরও শক্তিশালী ধরন পাওয়া গেছে। তাই বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ রাখতে সবার উচিত কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা।’

সর্বশেষ খবর