বৃহস্পতিবার, ২৮ অক্টোবর, ২০২১ ০০:০০ টা

চট্টগ্রামে স্বাধীনতার ৫০ বছর পর হচ্ছে স্মৃতিসৌধ

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

স্বাধীনতার পাঁচ দশক পার হলেও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সূতিকাগার চট্টগ্রামে হয়নি কোনো স্মৃতিসৌধ বা মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর। তবে এবার হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিসৌধ ও জাদুঘর। চট্টগ্রাম মহানগরের উত্তর কাট্টলীতে নির্মাণ হচ্ছে এটি। ইতিমধ্যে তৈরি হয়েছে প্রস্তাবিত নকশা। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন স্মৃতিসৌধ নির্মাণ তদারক করছে। আজ বেলা ১১টায় মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধ ও জাদুঘর নির্মাণে প্রস্তাবিত স্থান পরিদর্শন করবেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। পরে তিনি চট্টগ্রামের মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। জানা যায়, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিসৌধ ও জাদুঘর নির্মাণে উত্তর কাট্টলী, মোহরার হামিদচরসহ একাধিক জায়গার প্রস্তাব মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।

মন্ত্রণালয় যাচাই-বাছাই করে উত্তর কাট্টলী মৌজার প্রায় ১০ একর সরকারি খাসজমিতে স্মৃতিসৌধের জায়গাটি নির্ধারণের উদ্যোগ গ্রহণ করে। পরে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে উত্তর কাট্টলী মৌজায় ‘চট্টগ্রাম মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধ ও জাদুঘর নির্মাণের নির্ধারিত স্থান’ উল্লেখ করে সাইনবোর্ডও দেওয়া হয়েছে।

চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান বলেন, ‘স্বাধীনতার ৫০ বছরেও চট্টগ্রামে স্মৃতিসৌধ নির্মিত না হওয়াটা দুঃখজনক। তবে এবার আমরা স্মৃতিসৌধ ও মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর নির্মাণে উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। ইতিমধ্যে উত্তর কাট্টলী মৌজার নির্ধারিত স্থান কেন্দ্র করে দক্ষ আর্কিটেক্ট দিয়ে প্রস্তাবিত নকশা চূড়ান্ত করা হয়েছে। ১৭ নভেম্বর তা প্রধানমন্ত্রীর কাছে উপস্থাপন করা হবে। তিনি প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেবেন। এর পরই চূড়ান্ত পর্যায়ে কাজ শুরু হবে।’

জানা যায়, চট্টগ্রামের লালদীঘি মাঠ থেকে বঙ্গবন্ধু ঘোষণা করেন ঐতিহাসিক ছয় দফা আন্দোলন। স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করা হয় চট্টগ্রাম থেকে। চট্টগ্রামে আছে স্বাধীনতা আন্দোলনের অনেক স্মৃতিস্মারক। তাই বলা যায় চট্টগ্রাম স্বাধীনতা সংগ্রামের সূতিকাগার। তবু চট্টগ্রামে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণ, গণকবর ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতি সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। চট্টগ্রামের দেশপ্রেমীদের জাতীয় সব দিবসে সম্মান জানাতে জড়ো হতে হয় শহীদ মিনারে। শহীদ মিনার ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে তৈরি হলেও এখানেই সব জাতীয় দিবস- আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, স্বাধীনতা দিবস কিংবা বিজয় দিবসে সম্মান জানাতে হয়। ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ১৯৬৯ সালে চট্টগ্রাম মহানগরের নন্দনকাননের মুসলিম ইনস্টিটিউট হলের সামনে নির্মিত শহীদ মিনারটিই চট্টগ্রামের মানুষের জন্য একমাত্র স্বাধীনতা স্মৃতিস্মারক।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর