বৃহস্পতিবার, ২৮ অক্টোবর, ২০২১ ০০:০০ টা

ভোটের আগে মাঠ খালি করতে ফের মামলা : ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর রাজধানীতে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, সারা দেশে পূজামন্ডপে হামলার ঘটনার সঙ্গে বিএনপি নেতা-কর্মীদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। অথচ বিএনপি নেতাদের নামে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা দেওয়া হচ্ছে। এসব মামলার উদ্দেশ্য দেশের মূল সংকট থেকে দৃষ্টি অন্যদিকে সরানো এবং নির্বাচনের আগে মাঠ একদম খালি করে ফেলা। তিনি বলেন, পূজামন্ডপে হামলা ও হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগের ঘটনাগুলোর পেছনে সরকারের সরাসরি মদদ রয়েছে। গতকাল দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এই সংবাদ সম্মেলনে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম ও আমান উল্লাহ আমানসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, দলের ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু এবং অন্য যাদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে তারা কেউই পূজামন্ডপে হামলার ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন না। বিএনপি নেতা-কর্মীদের হয়রানি করা এবং আইনগতভাবে বিপদগ্রস্ত করার উদ্দেশে বরকত উল্লাহ বুলুর বিরুদ্ধে নির্যাতন করে স্বীকারোক্তি আদায় করা হয়েছে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচনের আগে বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে হাজার হাজার ‘গায়েবি’ মামলা দেওয়া হয়েছিল। দেশে যে কোনো ঘটনা ঘটলেই তারা বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে দেয় এবং তাদের গ্রেফতার করা হয়, হয়রানি করা হয়। শুধু তাই নয়, অনেক সময় গায়েবি মামলাও করা হয়, যেটা আমরা গত নির্বাচনের আগে দেখেছি। তিনি অভিযোগ করেন, এর মাধ্যমে গ্রেফতার বাণিজ্য করে পুলিশ। এবারও আমরা এটা লক্ষ্য করলাম। যা আমাদের সিভিল সোসাইটি ও বুদ্ধিজীবীরাও বলছেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, পূজা উপলক্ষে মন্দির ভাঙা এবং লুটপাটের বিষয়ে মোট মামলা হয়েছে ৬০টি। আসামির সংখ্যা ১৫ হাজার ৯৬ জন। ইতিমধ্যে বিএনপির ১৪৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে নোয়াখালীর চৌমুহনীতে ২৩টি মামলায় আসামি করা হয়েছে ৭ হাজার ৯৬১ জনকে।

মির্জা ফখরুল বলেন, এই মামলা কবে শেষ হবে? ৭ হাজার ৬১ জনের মামলা যদি চলতে থাকে, মামলা তো শেষ হবে না। এর উদ্দেশ্য হচ্ছে, এ ঘটনাগুলো ঘটিয়ে বিএনপি নেতা-কর্মীদের জড়িয়ে তাদের হয়রানি করা, গ্রেফতার করা ও গ্রেফতার বাণিজ্য করা। যাতে দেশের মূল সমস্যা থেকে দৃষ্টি অন্যদিকে সরিয়ে নেওয় যায়। তিনি বলেন, এবার দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে প্রতিটি ঘটনার পেছনেই সরকারি দলের ইন্ধন ছিল। রংপুরের পীরগঞ্জে যে ঘটনা ঘটেছে- সেখানে রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের নেতা সৈকত রেজাউল- তারাই এ ঘটনার সূত্রপাত ঘটিয়েছে। তারা ঘটনার সূত্রপাত ঘটাল। এরপর দেখা গেল মামলায় অনেক বিএনপির নেতা-কর্মীর নাম দিয়ে দিয়েছে। রংপুরে চারটি মামলায় ৪১ জনকে আসামি করা হয়েছে। সেখানকার ইউএনও বলেছেন, ওসি-ও বলেছেন, পরবর্তীকালে যারা ধরা পড়েছেন, তারা সবাই ছাত্রলীগের নেতা।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর