বৃহস্পতিবার, ২৮ অক্টোবর, ২০২১ ০০:০০ টা

ডিবি পরিচয়ে ডাকাতি গ্রেফতার ৯

নিজস্ব প্রতিবেদক

ডাকাত দলের সদস্যরা বিভিন্ন ঘটনায় গ্রেফতার হয়ে কারাগারে যাচ্ছে। সেখান থেকেই তারা আবার সংগঠিত হচ্ছে। নতুনভাবে তৈরি করে ডাকাত দল। পরে জামিনে বেরিয়ে এসে আবার সংঘবদ্ধভাবে ডাকাতি শুরু করে। গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) পরিচয়ে ডাকাতি করা এ চক্রের নয় সদস্য গ্রেফতার হয়েছে। মঙ্গলবার রাজধানীর মতিঝিল ও মোহাম্মদপুর থেকে তাদের গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) গুলশান বিভাগ।

গ্রেফতার এ চক্রের বিরুদ্ধে মতিঝিল থানায় ডাকাতি ও মাদক আইনে দুটি মামলা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা হলো-আবদুল্লাহ আল মামুন, ইমদাদুল শরীফ, খোকন, মাসুদুর রহমান তুহিন, মামুন শিকদার, কমল হোসেন, ওয়াহিদুল ইসলাম, ফারুক বেপারী ও মতিউর রহমান। এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি ওয়াকিটকি, একটি নকল পিস্তল, এক জোড়া হাতকড়া, দুটি ডিবি জ্যাকেট, চারটি গামছা, একটি প্রাইভেট কার, একটি মাইক্রোবাস ও ৫ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করা হয়। গতকাল ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন যুগ্ম-কমিশনার (ডিবি-উত্তর) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। তিনি বলেন, করোনা মহামারী কাটিয়ে অর্থনীতি আবার চাঙা হয়ে উঠেছে।

ফলে মানুষের ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলনের হার বাড়ছে। এ সুযোগে চক্রটি মতিঝিলের ব্যাংকপাড়ায় অবস্থান নিয়ে টাকা উত্তোলন করে আসা ব্যক্তিদের ডিবি পুলিশ পরিচয়ে গাড়িতে তুলত। পরে ভয় দেখিয়ে মূল্যবান সবকিছু লুট করে নিত। যারা চেঁচামেচির চেষ্টা করত তাদের গলায় গামছা পেঁচিয়ে ফাঁস দিত। অনেককে গামছা দিয়ে চোখ বেঁধে নির্জন এলাকায় নিয়ে সবকিছু লুটে নিত।

টার্গেট ব্যক্তি বাসে উঠলেও রেহাই মিলত না। চক্রের সদস্যরা তাদের ব্যবহৃত গাড়ি নিয়ে ওই বাসের পিছু নিত। বাসটি একটু নির্জন এলাকায় গেলে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে বাসের গতি রোধ করে সেই ব্যক্তিকে নিজেদের গাড়িতে তুলত। সবকিছু লুট হয়ে গেলে ভিকটিমকে আশুলিয়া ও রূপগঞ্জের নির্জন এলাকায় ফেলে দেওয়া হতো। অনেক সময় তারা নারীদের টার্গেট করে মূল্যবান কিছু না পেয়ে ধর্ষণ ও শ্লীলতাহানিও ঘটিয়েছে। চক্রের সদস্যদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতন আইনে একাধিক মামলা রয়েছে।

কেউ ডিবি পরিচয় দিলেই তাকে আসল মনে করবেন না জানিয়ে যুগ্ম-কমিশনার হারুন বলেন, ‘কেউ ডিবি পরিচয় দিলে যাচাই করার চেষ্টা করুন। প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট থানা ও জাতীয় জরুরি সেবা ট্রিপল নাইনে (৯৯৯) কল করে নিশ্চিত হোন। না হলে ভয়াবহ বিপদ ঘটতে পারে। যদি কোনোভাবে ডাকাতি ঘটেও যায় তাহলে থানায় মামলা করুন, থানা মামলা না নিলে ডিবি কার্যালয়ে আসুন। আমরা অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা নেব। প্রাণে বেঁচে গেছেন ভেবে শুকরিয়া আদায় করে চুপ থাকবেন না।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর