খুলনায় করোনার ১৮ মাসে ৩ হাজার নয়জন কিশোরীর বিয়ে হয়েছে। এর মধ্যে সপ্তম, অষ্টম ও নবম শ্রেণির ছাত্রীর বিয়ে বেশি হয়েছে। এ ঘটনাকে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ দাবি করে গতকাল খুলনায় ‘ক্রমবর্ধমান বাল্যবিয়ে বন্ধে রাজনৈতিক ও নাগরিক সংলাপ’ অনুষ্ঠিত হয়। মহানগরীর সিএসএস আভা সেন্টারে বেসরকারি সংস্থা এশিয়া ফাউন্ডেশন, রূপান্তর ও ইউকে এইড এর আয়োজন করে। এতে বক্তারা বলেন, অসচেতনতা, অর্থনৈতিক দুরবস্থা ও শিশুর নিরাপত্তাহীনতার কারণে বাল্যবিয়ে ঘটছে। এ ক্ষেত্রে ভুয়া জন্মনিবন্ধন ও নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে বয়স বৃদ্ধি দেখিয়ে বাল্যবিয়ে দেওয়া হচ্ছে। বক্তারা বলেন, উদ্বেগজনক হারে বৃদ্ধি পাওয়া বাল্যবিয়ে বন্ধে প্রশাসনকে এগিয়ে আসতে হবে। অনুষ্ঠানে অধ্যাপক আনোয়ারুল কাদিরের সভাপতিত্বে বক্তৃতা করেন জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হারুনুর রশীদ, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুজিত অধিকারী, বিএনপি নেতা মনিরুজ্জামান মন্টু, শেখ আবু হোসেন, জেলা জাতীয় পার্টি সভাপতি শফিকুল ইসলাম মধু ও নারী নেত্রী শামীমা সুলতানা শিলু।