সোমবার, ১ নভেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

কোটি টাকা খরচেও মরছে না মশা

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

গরম কি শীত, বছরজুড়েই মশার উৎপাত রাজশাহী নগরীতে। দিন-রাত সব সময়ই মশার দাপট সব খানে। নগরীতে মশা মারতে গত এক বছরে কোটি টাকা খরচ করেছে রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক)। কিন্তু সুফল পাচ্ছে না নগরবাসী। মশার দাপট কমাতে পারেনি সিটি করপোরেশন। উল্টো মশার ঘনত্ব বেড়েছে বলে জানিয়েছে নগরবাসী। রাসিকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দাবি, মশা মারতে তারা নিয়মিত কার্যক্রম পরিচালনা করছে। একই সঙ্গে তারা বলছেন, মশার দাপট নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে নগরবাসীর সচেতনতা সবার আগে জরুরি। নগরবাসী জানিয়েছে, বিকালের পর থেকে মশার উৎপাত বাড়ে। সন্ধ্যার পর মশারির বাইরে বসে থাকা কষ্টকর হয়ে পড়ছে। কয়েল জ্বালিয়েও ফল মিলছে না। এ নিয়ে নগরবাসীর ক্ষোভের যেন শেষ নেই। মাঝেমধ্যে সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে প্রচারণা চালিয়ে মশা নিধনের কথা বলা হলেও বাস্তবে এসবের কোনো ফল নেই।

রাসিকের পরিচ্ছন্নতা বিভাগের তথ্যমতে, নগরীতে ছোট-বড় মিলে মোট ৩৯২ কিলোমিটার ড্রেন আছে। এসব ড্রেন ও তার আশপাশের এলাকায় ব্যবহার করা হয় লার্ভিসাইড ও অ্যাডাল্টি সাইড নামে মশা নিধনের দুই ধরনের ওষুধ। গত বছরের জুন থেকে এ পর্যন্ত ব্যবহার করা হয়েছে প্রায় সাড়ে ৮০০ লিটার ওষুধ। এসব ওষুধ দিতে খরচ পড়েছে প্রায় ১ কোটি টাকা। কিন্তু মশা নিয়ন্ত্রণে রাখতে কোটি টাকা শেষ হয়ে গেলেও নিয়ন্ত্রণে আসেনি মশার দাপট।

রাজশাহীতে এখনো কারও ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। তবে ইতিমধ্যে ঢাকা থেকে ডেঙ্গু রোগী রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এসে ভর্তি হয়েছেন।

মশার চরম উৎপাতে নগরীর বাড়ি, অফিস কিংবা চায়ের আড্ডা কোথাও স্বস্তিতে নেই মানুষ। নগরীর সাহেব বাজারের ব্যবসায়ী অশোক কুমার বলেন, ‘মশার যন্ত্রণা অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে। সকাল-দুপুর কিছুটা সহনীয় হলেও সন্ধ্যায় পর দোকানে থাকাই যায় না। কয়েল জ্বালিয়েও পরিত্রাণ মেলে না। কাজের সময় কাজ করব, না মশা মারব। অনেক সময় কয়েলের ধোঁয়ায় দুর্বল হয়ে পড়া মশা জিনিসপত্রে পড়ে।’

রাসিকের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শেখ মো. মামুন বলেন, ‘আমরা মশার ডিম ধ্বংসকারী ওষুধ লার্ভিসাইড ব্যবহার করছি। এ ছাড়াও আমরা উড়ন্ত মশা মারার জন্য অ্যাডাল্টিসাইড ব্যবহার করি। তবে মশা নিয়ন্ত্রণ করতে হলে আগে মানুষকে সচেতন হতে হবে। এটার কোনো বিকল্প নেই। মানুষ যত সচেতন হবে, আশপাশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখলে মশার উৎপাত তত কমবে।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর