মঙ্গলবার, ২ নভেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা
সংক্ষিপ্ত

খুলনায় ১৬ বিদ্রোহী প্রার্থীকে বহিষ্কারের সুপারিশ এমপির

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা

দ্বিতীয় দফা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে খুলনার ডুমুরিয়ায় আওয়ামী লীগের ১৬ বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থীকে দল থেকে বহিষ্কারের দাবি জানানো হয়েছে। গতকাল খুলনা-৫ আসনের সংসদ সদস্য, ডুমুরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি নারায়ণচন্দ্র চন্দ জেলা নেতৃবৃন্দকে দেওয়া এক চিঠিতে তাদের বহিষ্কারের এ দাবি জানান। এর আগে ২৯ অক্টোবর উপজেলা আওয়ামী লীগের বৈঠকে দলীয় শৃঙ্খলা ভেঙে নৌকার বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় বিদ্রোহী প্রার্থীদের বহিষ্কারের সুপারিশ জানানো হয়। জানা যায়, ডুমুরিয়ার ১৪ ইউনিয়নের প্রতিটিতে নৌকার প্রার্থীর বিপরীতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন।

এর মধ্যে বিদ্রোহী প্রার্থী রঘুনাথপুর ইউনিয়নে গাজী আবদুল হক, মনোজিত বালা, রুদাঘরা ইউনিয়নে গাজী তৌহিদুজ্জামান তৌহিদ, এম এম ইমরান হোসেন, খর্নিয়া ইউনিয়নে শেখ হেফজুর রহমান, এস এম মেহেদী হাসান, শোভনা ইউনিয়নে সুরঞ্জিত কুমার বৈদ্য, শরাফপুরে শেখ রবিউল ইসলাম, সাহস ইউনিয়নে শাহজালাল মোড়ল, ভা-ারপাড়া ইউনিয়নে গোপালচন্দ্র দে ও বিপুল মন্ডল, ডুমুরিয়া সদর ইউনিয়নে এস এম জাহাঙ্গীর আলম, হুমায়ুন কবির বুলু, শেখ রবিউল ইসলাম, মাসুদ রানা নান্টু, রংপুর ইউনিয়নে কাজল বিশ্বাসকে বহিষ্কারের সুপারিশ জানানো হয়েছে।

ভা-ারপাড়া ইউনিয়নে গোপালচন্দ্র দে’র কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে নৌকার পোস্টার লাগাতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন ইউনিয়নে প্রচার-প্রচারণায় বাধা দেওয়ায় কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন নৌকার প্রার্থীরা।

জানা যায়, দলীয় বিদ্রোহী প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকায় ২০ সেপ্টেম্বর প্রথম দফা নির্বাচনে খুলনায় ৩৪ ইউনিয়নের মধ্যে ১২টি হাতছাড়া হয়েছে আওয়ামী লীগের। এর আগে দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় ১১ বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থীকে বহিষ্কার করলেও তারা নির্বাচনের মাঠ ছাড়েননি। জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হারুনুর রশিদ জানান, আওয়ামী লীগ বড় দল। যে কোনো ইউনিয়নে একাধিক যোগ্য প্রার্থী রয়েছে। কিন্তু দল থেকে একজনকে নৌকা দেওয়া হয়েছে। ফলে অন্যরা বিদ্রোহী হয়েছেন। তবে দলের নিরঙ্কুশ বিজয়ের জন্য বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থান নেওয়া হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর