বুধবার, ৩ নভেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

নির্বাচনী সহিংসতায় বিব্রত কমিশন : সিইসি

নিজস্ব প্রতিবেদক

নির্বাচনী সহিংসতায় বিব্রত কমিশন : সিইসি

ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের সহিংসতার ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় কমিশন বিব্রত বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা। গতকাল বিকালে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন। সিইসি বলেন, নির্বাচনে সহিংসতার ঘটনা বেড়ে যাচ্ছে সেটা ঠিক, আমরা সেটি প্রত্যক্ষ করেছি। নির্বাচনের ব্যাপারে মাঠপর্যায়ে কী ধরনের নির্দেশনা দেওয়া দরকার সেটি নিয়ে চিন্তাভাবনা করছি। আমরা আশা করি আগামী ৪ তারিখে বিস্তারিত আলোচনা করব। অনেক ঘটনা ঘটে গেছে। যেগুলো নিয়ে আমরা বিব্রত। সেটা নিয়ন্ত্রণের জন্য আমরা কমিশনারদের সঙ্গে আলোচনা করে মাঠপর্যায়ে দিকনির্দেশনা দেব। ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী, ইসি সচিব মো. হুমাযুন কবীর খোন্দকার, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক একেএম হুমায়ূন কবীর, আইডিইএ প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল কাশেম মো. ফজলুল কাদের উপস্থিত ছিলেন।

নির্বাচনে সহিংসতার ঘটনা কেন ঘটছে? মাঠপর্যায়ে কি কমিশনের নিয়ন্ত্রণ নেই? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, আমাদের নিয়ন্ত্রণ আছে। কিন্তু মাঠপর্যায়ে যদি সহনশীলতা না থাকে, তাহলে তো নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। আমরা বারবার বলি নির্বাচন প্রতিদ্ধন্ধিতাপূর্ণ হবে, প্রতিযোগিতামূলক হবে, কিন্তু প্রতিহিংসামূলক হবে না। আমরা আপনাদের মাধ্যমে জানাতে চাই, নির্বাচনে যে সহিংস ঘটনা ঘটছে, সেটা সবার প্রচেষ্টার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

সিইসি বলেন, অভিযোগ এলেই আমরা ব্যবস্থা নেই। কিন্তু তাৎক্ষণিক কোনো ফৌজদারি ঘটনা ঘটলে, সেটা আমরা এখানে বসে কিছু করতে পারি না। এগুলো পূর্ব পরিকল্পিত হয় না বা প্রশাসন তা আগে থেকেই জানতে পারে না। ফৌজদারি ঘটনাগুলো ঘটলে তা মাঠপর্যায়ে নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে আমাদের কঠোর নির্দেশনা আছে।

রাজনৈতিক দলের ভূমিকা পজিটিভলি দেখছেন কি না সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, আমরা খুব পজিটিভলি দেখছি না। দুঃখজনক হলেও সত্যি। এসব বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সক্রিয় ভূমিকা থাকা দরকার। নির্বাচনের বিষয়টি শুধু নির্বাচন কমিশনের না, এটা সবারই। আমরা তার ব্যবস্থাপনায় থাকি শুধু। সুতরাং তারা আরও প্রোঅ্যাকটিভ যদি হয়, তাহলে এগুলো আরও কমে আসবে।

শরীয়তপুরে কয়েকজন প্রার্থীর স্বাক্ষর জাল করে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করার অভিযোগের বিষয়ে সিইসি বলেন, এই বিষয়ে কমিশনের একজন যুগ্ম-সচিবকে প্রধান করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রতিবেদনটা পেলেই আমরা সঠিক যে অবস্থান সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেব। সাত দিনের মধ্যে আমরা এটি জানতে পারব।

এই সময় নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, রাজনৈতিক দল, প্রার্থী ও ভোটারের কাছে বলতে চাই, সেটা হলো দয়া করে উনারা যেন একটু শান্ত থাকার চেষ্টা করেন। যাতে করে এই সহিংস পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয়। যদি সহিংসতার ঘটনা না হয়, তাহলে এই রকম অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা ঘটবে না। কোনো মায়ের বুক খালি হবে না। কোনো ছেলে পিতৃহারা হবে না। এই ধরনের ঘটনা অন্তত সীমিত হয়ে আসবে। এইটা হচ্ছে আমাদের একমাত্র মেসেজ।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর