সকালে সূচকের বড় উত্থান দিয়ে লেনদেন শুরু হয় ঢাকার শেয়ারবাজারে। দিনশেষে তা বড় দরপতনের মধ্য দিয়ে শেষ হয়। গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সবকটি মূল্য সূচক পতনের পাশাপাশি লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম কমেছে। তবে টাকার অঙ্কে লেনদেনের পরিমাণ গতকালের চেয়ে কিছুটা বেড়েছে। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেরও (সিএসই) সবকটি মূল্য সূচকের পতন হয়েছে। সেই সঙ্গে দাম কমার তালিকায় নাম লিখিয়েছে বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার। লেনদেন শুরুর ৫ মিনিটেই ডিএসইর প্রধান সূচক ৩০ পয়েন্ট বেড়ে যায়। দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ৪৩ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ৯৫৪ পয়েন্টে নেমেছে। দিনভর ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৪৭ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বেড়েছে। বিপরীতে কমেছে ২০১টি ও ২৮টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের দরপতন হলেও কিছুটা ব্যতিক্রম ছিল বস্ত্র খাত। দরপতনের বদলে এই খাতের বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠান দাম বেড়েছে। তালিকাভুক্ত ৫৮টি বস্ত্র কোম্পানির মধ্যে ৩৫টি দাম বাড়ার তালিকায় স্থান করে নিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৯টির। আর চারটির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ২৯৫ কোটি ১১ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ১ হাজার ২৭৫ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন বেড়েছে ১৯ কোটি ৭২ লাখ টাকা। টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকো লিমিটেডের শেয়ার। কোম্পানিটির ১২৪ কোটি ৬৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ৬০ পয়সা কমে দিনশেষে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার দর হয়েছে ১৬২ টাকা ৬০ পয়সা। দ্বিতীয় স্থানে থাকা আইএফআইসি ব্যাংকের ৭১ কোটি ৩৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ৫৩ কোটি ৭৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে আলিফ ম্যানুফ্যাকচারিং।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্য সূচক সিএএসপিআই কমেছে ১৩৪ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৪৩ কোটি ৫২ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেওয়া ২৮৯টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১১৬টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৫০টির এবং ২৩টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
