বুধবার, ৩ নভেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা
চাঁদা দাবি ও শ্লীলতাহানি

সাভার থানার এসআইসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা

আদালত প্রতিবেদক

মারধর, চাঁদা দাবি ও শ্লীলতাহানির অভিযোগে সাভার থানার ভাকুর্তা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক শাহ আলমসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গতকাল ঢাকার চিফ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাহজাদী তাহমিদার আদালতে রাফিয়া আক্তার তুলি বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। মামলায় অপর আসামিরা হলেন- আওলাদ হোসেন খান, মো. আলাউদ্দিন, আমান উল্লাহ, মনোয়ারা বেগম ও জামাল হোসেন।

এদিন আদালত বাদীর জবানবন্দী গ্রহণ করেন। এরপর শুনানি শেষে মামলার অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, বাদিনী ও তার স্বামী নালিশা সম্পত্তিসহ ১৭৭ শতাংশ সম্পত্তি ক্রয় করে মালিক ও দখলকার হন। অতঃপর ওই সম্পত্তি নূরনবী আলী ও ইউনুছ আলী হাওলাদারকে কেয়ারটেকার নিযুক্ত করেন। এ কেয়ারটেকাররা বাদিনীর বাড়ি দেখাশোনা ও সেখানে বসবাস করে আসছিলেন। গত ২৬ সেপ্টেম্বর আসামি আওলাদ হোসেন খানসহ অন্য আসামিরা বাদীর বাড়িঘর ভাঙচুর করে। এতে বাধা দিলে আসামিরা কেয়ারটেকার ইউনুছ আলী হাওলাদারকে মারধর করে। পরে ২৭ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ১২টার দিকে সাভার থানার ভাকুর্তা পুলিশ ফাঁড়ির এসআই শাহ আলম ও দুজন কনস্টেবলের উপস্থিতিতে আওলাদ হোসেন এবং আলাউদ্দিন কেয়ারটেকারেরর স্ত্রীকে মারধর ও শ্লীলতাহানি করে। এরপর এসআই শাহআলম ভিকটিমকে বলেন, তোমাদের বাড়ির মালিক রাফিয়া আক্তারকে বলবা সে যেন ৫ লাখ টাকা নিয়ে ভাকুর্তা ভিট অফিসে দেখা করে। পরে ২৮ সেপ্টেম্বর সকালে বাদীর শুভাকাক্সক্ষী জাকির হোসেন ভাকুর্তা পুলিশ ফাঁড়িতে এ ব্যাপারে খোঁজখবর নিতে গেলে ফাঁড়ির দায়িত্বরত এসআই শাহ আলম জাকিরকে তৎক্ষণাৎ হাতকড়া পরায়। এরপর ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে বিকাল ৫টার দিকে তাকে ছেড়ে দেয়। এরপর চাঁদার ৫ লাখ টাকা না দেওয়ায় গত ৬ অক্টোবর এসআই শাহ আলম কেয়ারটেকারকে ফোন করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এতে করে বাদিনী চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর