শুক্রবার, ৫ নভেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

পারিবারিক বিরোধ নিয়ে ব্যবসায়ী নেতাকে হত্যা

নিজস্ব প্রতিবেদক

মৌলভীবাজারের চৈত্রঘাট বাজারের ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি নাজমুল হাসানকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় আটজনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব ও পুলিশ। তারা হলেন- বাবর মিয়া, রাসেল মিয়া, মাসুদ মিয়া, মরদিছ মিয়া, তফাজ্জল আলী, খালেদ মিয়া, জুয়েল মিয়া ও আমির হোসেন হীরা। র‌্যাব বলছে, পারিবারিক বিরোধ নিয়ে দ্বন্দ্বে নাজমুলকে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ বলছে, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নাজমুলকে খুন করা হয়েছে। নাজমুলকে হত্যার ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক সমালোচিত হয়। পরে আসামিদের গ্রেফতারে তৎপর হয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। গতকাল রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, রাজধানীর যাত্রাবাড়ী ও সিলেট থেকে বাবর, রাসেল, মাসুদ ও মরদিছকে গ্রেফতার করেন র‌্যাব-৯-এর সদস্যরা। পারিবারিক বিষয় নিয়ে নাজমুল হাসানের সঙ্গে একই এলাকার আবদুল আহাদ নাইছ মিয়ার সন্তানদের দ্বন্দ্ব চলছিল। একপর্যায়ে নাজমুল হাসানের সমর্থকদের হামলায় নাইছ মিয়ার ছেলে জুয়েলের পা ভেঙে যায়। এ হামলার প্রতিশোধ নিতে নাজমুলকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। ৩১ অক্টোবর আসামিরা মৌলভীবাজার সদর থেকে মাইক্রোবাসে চৈত্রঘাট বাজারে যান। নাজমুল হাসান চৈত্রঘাট বাজার থেকে বাসায় ফেরার পথে আসামিরা তাকে কুপিয়ে আহত করে রাস্তায় ফেলে যান। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

এ ঘটনায় নাজমুলের বড় ভাই শামসুল হক কমলগঞ্জ থানায় ১৪ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত পাঁচজনকে আসামি করে মামলা করেন।

এদিকে গতকাল মৌলভীবাজার পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া বলেন, গতকাল ভোরে ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশন এলাকার একটি আবাসিক হোটেল থেকে তফাজ্জল আলী ও খালেদ মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়। এ নিয়ে মোট চার আসামি গ্রেফতার হলেন। অন্য দুজন হলেন জুয়েল মিয়া ও আমির হোসেন হীরা। এর মধ্যে তিনজন এজাহারভুক্ত এবং একজন সন্দেহভাজন। নাজমুল হত্যার এজাহারভুক্ত প্রধান আসামি গ্রেফতার তফাজ্জল।

বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার সময় তফাজ্জল ও তার সঙ্গে থাকা খালেদকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তফাজ্জলের কাছ থেকে ভিসা সংযুক্ত পাসপোর্ট, টাকা এবং কিছু বিদেশি মুদ্রা জব্দ করা হয়। সোমবার কমলগঞ্জ থানা পুলিশ রাজনগর থেকে মামলার এজাহারভুক্ত জুয়েল এবং সদর এলাকা থেকে মাইক্রোবাস চালক আমিরকে গ্রেফতার করে। দীর্ঘদিন ধরে এ এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুটি পক্ষের বিরোধ রয়েছে। এরই জের ধরে ব্যবসায়ী নাজমুল হাসান খুন হন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর