রবিবার, ৭ নভেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা
রংপুরে পুলিশের ‘নির্যাতনে’ মৃত্যু

ময়নাতদন্তে আঘাতের চিহ্ন পাননি চিকিৎসক

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর

রংপুরের হারাগাছে পুলিশের ‘নির্যাতনে’ তাজুল ইসলামের মৃত্যুর ঘটনায় ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন দিয়েছে রংপুর মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগ। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে প্রাথমিকভাবে তাজুলের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাননি তারা। তবে হৃৎপি- ও ভিসেরা পরীক্ষার প্রতিবেদন পেতে আরও কয়েকদিন লাগবে বলে জানিয়েছেন রংপুর মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. রাজিবুল ইসলাম। তিনি জানান, ময়নাতদন্তে তাজুলের শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু হয়েছে কি না তা জানতে হৃৎপি- একই হাসপাতালের প্যাথলজি বিভাগে পাঠানো হবে। সেখান থেকে প্রতিবেদন এলে হৃদরোগে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে। এ ছাড়া তাজুলের ভিসেরা পরীক্ষার জন্য রাজশাহী মেডিকেলের ল্যাবে পাঠানো হচ্ছে। সেখান থেকে প্রতিবেদন পেতে কয়েকদিন লাগবে। ভিসেরার প্রতিবেদন এলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।

তাজুলের মৃত্যুর বিষয়টি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ হলে এক আইনজীবী হাই কোর্টের নজরে আনেন। হাই কোর্ট ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনসহ অন্যান্য কাগজপত্র জমা দিতে পুলিশকে নির্দেশ দেয়। এর পরপরই তাজুলের মৃত্যুর ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মেহেদুল করিমকে প্রধান করে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে সাত কর্মদিবসে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়।

 হারাগাছের ঘটনার বিষয়ে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন ও অপমৃত্যুর মামলার নথি হাই কোর্ট চাওয়ায় এগুলো হাই কোর্টে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

১ নভেম্বর সন্ধ্যায় হারাগাছ থানার দরদী স্কুলের সামনে থেকে তাজুল ইসলামকে মাদকসহ আটক করে পুলিশ। এর কিছুক্ষণ পরই তাজুল মারা যান। পুলিশের নির্যাতনে তাজুলের মৃত্যু হয়েছে এমন খবর ছড়িয়ে পড়লে প্রতিবাদে থানা ঘেরাও করেন এলাকাবাসী। এ সময় বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী থানায় ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করে। পরে রংপুর থেকে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই মর্তুজার রহমান আবু অপমৃত্যু মামলা করেছেন। এ ছাড়া তাজুলের কাছ থেকে মাদক উদ্ধার ও থানা ঘেরাও করে হামলা, গাড়ি ভাঙচুর, সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে দুটি মামলা করেছে পুলিশ।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর