রাজশাহী মহানগরীতে অটোরিকশাচালক আবদুল কাদের (৫৫)কে গলা কেটে হত্যা করে অটোরিকশা ছিনতাইয়ের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে বোয়ালিয়া মডেল থানা পুলিশ। এ সময় আসামিদের কাছ থেকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত চাকু, মোবাইল ফোনসহ ছিনতাই হওয়া অটোরিকশার বিভিন্ন যন্ত্রাংশ উদ্ধার হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- রাজশাহীর চারঘাট থানার আল-আমিন (২১), বাঘা থানার মো. জনি (২১) ও নাটোরের লালপুর থানার আরিফুল ইসলাম (৩৫)। গতকাল দুপুরে আরএমপি সদর দফতরে সংবাদ সম্মেলনে রাজশাহী মহানগর পুলিশ কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক বিষয়টি সাংবাদিকদের জানান।
পুলিশ জানায়, গত ৭ অক্টোবর রাত ১ টায় বোয়ালিয়া মডেল থানা পুলিশ সাগরপাড়া নেসকো অফিসের পূর্বে ড্রেনে পরে থাকা একটি লাশ উদ্ধার করে। এরপর মৃতদেহের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুতের সময় লাশের পকেটে থাকা মোবাইল নম্বরের সূত্র ধরে পরিচয় শনাক্ত করেন। নিহত ব্যক্তি রাজপাড়া থানার শ্রীরামপুর এলাকার মৃত কবেজ প্রামাণিকের ছেলে আবদুল কাদের (৫৫) বলে নিশ্চিত হয়। এ ঘটনায় নিহতের বড় ছেলে সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে বোয়ালিয়া মডেল থানায় মামলা করেন।আরএমপি’র সাইবার ক্রাইম ইউনিটের সহায়তায় আরএমপি অপারেশন কন্ট্রোল অ্যান্ড মনিটরিং সেন্টারের সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা এবং তথ্য প্রযুক্তি বিশ্লেষণের মাধ্যমে আসামিদের শনাক্ত করা হয়। এরপর শনিবার রাতে বোয়ালিয়া মডেল থানার একটি দল অভিযান চালিয়ে মূল অভিযুক্ত আল-আমিন (২১)কে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত চাকুসহ চারঘাট থেকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত আসামি আল-আমিনের দেওয়া তথ্য মতে তার সহযোগী অপর আসামি জনি (২১)কে বাঘা থেকে গ্রেফতার হয় এবং চোরাই অটোরিকশা কেনার অপরাধে নাটোর লালপুর থেকে অটোরিকশার যন্ত্রাংশসহ গ্যারেজ মালিক আরিফুল ইসলামকে গ্রেফতার করে পুলিশ।