দেশে বর্তমানে করোনাভাইরাসে সংক্রমণের হার নিম্নমুখী। গত দুই সপ্তাহ ধরে সংক্রমণের হার ২ শতাংশের নিচে। গতকাল শনাক্তের হার ছিল ১ দশমিক ১৭ শতাংশ। কিন্তু ২০২০ এবং ২০২১ সালে করোনা সংক্রমণ শুরুর সময়কালটা পর্যবেক্ষণ এবং মূল্যায়নে সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি এখন আগামী মার্চ-এপ্রিল ও মে মাসের দিকে। ওই সময়ে কী হচ্ছে- হয়তো তা নিয়েও নির্ভর করছে করোনাভাইরাসের আগামীর চরিত্র। তাই চিকিৎসক, গবেষক ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা এখন অপেক্ষায় আছেন। জানা যায়, চীনের উহান প্রদেশে করোনাভাইরাস দেখা দিয়েছিল ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে। কিন্তু বাংলাদেশে প্রথম শনাক্ত হয় ২০২০ সালের ৮ মার্চ এবং চট্টগ্রামে প্রথম শনাক্ত হয় ৮ এপ্রিল। এরপর জুলাই-আগস্টের দিকে সংক্রমণ কমে। কিন্তু ২০২১ সালের এপ্রিল মাসে আবারও সংক্রমণ বৃদ্ধি পায়। জুলাই পর্যন্ত দাপট দেখায় করোনা। তাই তৃতীয় বছর-২০২২ সালের মার্চ-এপ্রিল ও মে মাসে করোনা সংক্রমণের আচরণ, ধরন ও প্রকৃতি কেমন হয়- তার দিকেই দৃষ্টি এখন চিকিৎসক, গবেষক ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরাও বলছেন, আগামী মার্চ-এপ্রিল ও মে মাসে কী হচ্ছে তার ওপর নির্ভর করছে করোনাভাইরাসের আগামী চরিত্র। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকসাস ডিজিজের (বিআইটিআইডি) সহযোগী অধ্যাপক ও ল্যাব ইনচার্জ ডা. শাকিল আহমেদ বলেন, বর্তমানে দেশে যে ভ্যারিয়েন্ট চলছে তার সংক্রমণ বৃদ্ধির সম্ভাবনা কম। তবে অন্যান্য দেশের ভ্যারিয়েন্টগুলো নিয়ে কিছুটা চিন্তিত। তবুও আমরা নিয়মিত চার্ট করে বিষয়টি পর্যবেক্ষণে রেখেছি। বিভিন্ন সিকুয়েন্সের পরীক্ষাও চলছে। আশা করি সংক্রমণ বাড়বে না।’ চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের কনসালটেন্ট করোনা গবেষক ডা. এইচ এম হামিদুল্লাহ মেহেদী বলেন, ২০২০ ও ২০২১ সালে মার্চ থেকে জুন-জুলাই মাসে সংক্রমণটা বেশি ছিল।
তাই আগামী বছরের ওই সময়টা এখন আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। তবে বেশির ভাগ মানুষকে টিকার আওতায় আনা গেলে সংক্রমণ বাড়বে না।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত রবিবার ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে দুজন। এদিন নমুনা পরীক্ষা করা হয় ১ হাজার ৩৩০টি। এ সময়ে করোনায় কেউ মারা যায়নি। গত রবিবার পর্যন্ত চট্টগ্রামে মোট আক্রান্ত হয় ১ লাখ ২ হাজার ২৬৯ জন। এর মধ্যে মহানগর এলাকায় ৭৩ হাজার ৯৯৫ জন এবং উপজেলায় ২৮ হাজার ২৭৪ জন।