মঙ্গলবার, ৯ নভেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

খুলনায় তৃণমূল আওয়ামী লীগে বিশৃঙ্খলা

বহিষ্কৃত নেতা-কর্মীরা নিয়ন্ত্রণহীন, নৌকার প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রচারণায় সক্রিয়

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা

খুলনায় তৃণমূল আওয়ামী লীগে বিশৃঙ্খলা

খুলনায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ঘিরে দ্বন্দ্ব-সংঘাতে অস্বস্তিতে রয়েছে আওয়ামী লীগ। দ্বিতীয় দফা ইউপি ভোটে খুলনার ২৫টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে নিজ দলেরই প্রার্থী রয়েছে ৫৮ জন। প্রচার-প্রচারণায় প্রতিনিয়ত বিবাদে জড়াচ্ছেন দলীয় ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর (বিদ্রোহী) কর্মী-সমর্থকরা।

এরই মধ্যে ডুমুরিয়ার সাহস ইউনিয়নে সংঘর্ষের ঘটনায় পাল্টাপাল্টি মামলা ও রুদাঘরা ইউনিয়নে ভাঙচুরে পৃথক আরেকটি মামলা হয়েছে। এ ছাড়া ডুমুরিয়ার ১৪টি ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের বিরুদ্ধে প্রতিপক্ষ প্রার্থীর হয়ে কাজ করায় ১১২ জন নেতা-কর্মীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তারপরও দলে শৃঙ্খলা ফেরানো যাচ্ছে না।

জানা যায়, বিদ্রোহী প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকায় গত ২০ সেপ্টেম্বর প্রথম দফা নির্বাচনে খুলনায় ৩৪টি ইউনিয়নের মধ্যে ১২টি হাতছাড়া হয়েছে আওয়ামী লীগের। এবারও বিভিন্ন ইউনিয়নে একক প্রার্থী দিতে ব্যর্থ হয়েছে দলটি। দলীয় মনোনয়নপ্রাপ্তদের বাইরে সবাই নিজেদের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে পরিচয় দিলেও তাদের পদ-পদবি রয়েছে এবং প্রচারণায় দলীয় কর্মী-সমর্থকদের মাঠে নামাচ্ছেন। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হারুনুর রশীদ জানান, আওয়ামী লীগ বড় রাজনৈতিক দল। সব ইউনিয়নে একাধিক যোগ্য প্রার্থী রয়েছে। একজনকে মনোনয়ন দিলে অন্যজন কষ্ট পান। তাতে তৃণমূলে বিব্রত হতে হয়। এদিকে বহিষ্কারাদেশ দিয়েও দলে শৃঙ্খলা রাখা যাচ্ছে না। নেতা-কর্মীরা জানান, খুলনার ডুমুরিয়া, রূপসা, বটিয়াঘাটা ও ফুলতলা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থীর বিপরীতে স্বতন্ত্র প্রার্থীর আড়ালে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছে। এদিকে নৌকার প্রতিপক্ষ প্রার্থীর হয়ে প্রচার-প্রচারণায় থাকায় জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এ বি এম শফিকুল ইসলাম, জেলা পরিষদের সদস্য মহিলা লীগ নেত্রী শোভা রানী হালদারসহ ১১২ জনকে দল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। এতে দলের মধ্যেই ক্ষোভ অভিমান বাড়ছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর