বৃহস্পতিবার, ১১ নভেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

রামেকে বছরে সাপে কাটা ২২ রোগীর মৃত্যু

উপজেলাতে অ্যান্টিভেনামের ব্যবস্থা

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় প্রতি বছর ২২ জন সাপে কাটা রোগীর মৃত্যু হয়। অধিকাংশ রোগীই সাপে কামড়ানোর নির্ধারিত সময়ের চেয়ে দেরিতে হাসপাতালে পৌঁছান। স্থানীয় হাসপাতালগুলোয় অ্যান্টিভেনাম না থাকায় সবাই শহরে আসেন। এ সময় রোগী মারা যান। সাপে কাটা রোগী যাতে চিকিৎসার অভাবে মারা না যায় সেজন্য রাজশাহীর নয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও ফুলকোর্স চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে। বর্তমানে এসব স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সাপে কাটা রোগীর জন্য ‘অ্যান্টিভেনাম’ ভ্যাকসিনও সংরক্ষিত রাখা হচ্ছে। ফলে কাউকে বিষধর সাপে কামড়ালেও দ্রুত কাছের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে অকালমৃত্যুর ছোবল থেকে হয়তো অনেকেই রক্ষা পাবেন।

রামেক হাসপাতালসূত্রে জানা গেছে, গত এক বছরে (নভেম্বর ২০২০-অক্টোবর ২০২১) ৫৮২ জন সাপে কাটা রোগী এ হাসপাতালে ভর্তি হন। এর মধ্যে ১১৪ জনের শরীরে ‘অ্যান্টিভেনাম’ প্রয়োগ করা হয়। এক বছরে হাসপাতালে ভর্তি ২২ জন সাপে কাটা রোগী মারাও যান। বাকিরা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন।

রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার শামীম ইয়াজদানী বলেন, ‘রাজশাহী অঞ্চলে বিষধর সাপের উৎপাত অন্যান্য এলাকার চেয়ে একটু বেশি। কিন্তু এ অঞ্চলে রামেক হাসপাতাল ছাড়া অন্য কোথাও এ রোগীর চিকিৎসাব্যবস্থা ছিল না। যার কারণে সাপে কাটা রোগী নির্ধারিত সময়ের পর হাসপাতালে ভর্তি হওয়ায় গত এক বছরে ২২ জন মারা গেছেন। তবে সম্প্রতি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার ব্যবস্থা করায় হয়তো সাপের কামড়ে মারা যাওয়া রোগীর সংখ্যা কমে আসবে।’

রাজশাহীর ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. রাজিউল হক বলেন, ‘উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোয় আগে সাপে কাটা রোগীর জন্য প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা ছিল। বর্তমানে প্রতি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অন্তত দুজন সাপে কাটা রোগীর জন্য অ্যান্টিভেনামসহ প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহ করা হচ্ছে।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর