রাজশাহী মহানগরী যুবলীগের সমাবেশে দুই পক্ষে দুই দফা হাতাহাতি ও সংঘর্ষ ঘটেছে। এ ঘটনায় সেখানে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। গতকাল বিকাল সোয়া ৪টার দিকে মহানগরীর কুমারপাড়ায় দলীয় কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। যুবলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে র‌্যালির আগে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, যুবলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে মহানগরী যুবলীগের পক্ষ থেকে র‌্যালির আয়োজন করা হয়। এ উপলক্ষে বিকালে দলীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হন যুবলীগের নেতা-কর্মীরা। বিকাল সোয়া ৪টার দিকে র‌্যালি শুরুর আগে মহানগরী আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ভিতরে ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। এরপর বাইরে দুই পক্ষ হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে। এতে সেখানে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পরে মহানগরী আওয়ামী লীগ, যুবলীগ নেতৃবৃন্দসহ পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনার পর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর র‌্যালি বের করা হয়নি। পরে সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে কর্মসূচি শেষ করা হয়। সমাবেশে বক্তব্য দেন মহানগরী আওয়ামী লীগ সভাপতি, সিটি মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন ও সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার।

মহানগরী যুবলীগের কয়েকজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন সিটি মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন। মেয়রকে রিসিভ করতে যাওয়ার সময় মহানগরী যুবলীগ সভাপতি রমজান আলী গ্রুপের একজন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তৌরিদ আল মাসুদ রণিকে ধাক্কা দেন। এ থেকে ঘটনার সূত্রপাত।

মহানগরী যুবলীগ সভাপতি রমজান আলী বলেন, ‘কী নিয়ে ঘটনার সূত্রপাত আমি জানি না। রণির লোকজন যুবলীগের কয়েক নেতাকে ধাক্কা দিয়েছেন বলে আমি শুনেছি। তবে আমরা তৎক্ষণাৎ ঘটনা মিটিয়ে ফেলেছি।’ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তৌরিদ আল মাসুদ রণি বলেন, ‘নিজেদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। আমাকে মেয়রের সামনে ধাক্কা দেয়। পরে মেয়র বিষয়টি সমাধান করে দিয়েছেন।’

মহানগরী আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার বলেন, ‘যুবলীগের কিছু কর্মী এ ঘটনা ঘটিয়েছেন। এ কারণে র‌্যালি না করে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ ও বেলুন উড়িয়ে কর্মসূচি শেষ করা হয়েছে। তবে এ ঘটনা যারা ঘটিয়েছেন আমরা তাদের চিহ্নিত করে দল থেকে বহিষ্কারের জন্য যুবলীগকে সুপারিশ করব। তারা যদি পদক্ষেপ না নেন তবে বিষয়টি কেন্দ্রে জানাব।’