বৃহস্পতিবার, ১৮ নভেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে খুন শ্যালিকার ছেলেকে

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীতে পাঁচ বছরের শিশু সানি হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এ ঘটনায় চান মিয়া নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি খুন হওয়া শিশুটির খালু। গতকাল বেলা সাড়ে ১১টায় পল্টনে বিএনপি অফিসের সামনে থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই ব্যক্তি প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে শিশুটিকে হত্যা করেন বলে জানায় পুলিশ।

দুপুর ১টায় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, আগের দিন রাতে চান মিয়া শিশু সানিকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। এরপর ৯ নভেম্বর বিকালে ৬০ টাকা দিয়ে ফুটপাথ থেকে একটি যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট কেনেন। সন্ধ্যা ৭টায় গুলিস্তান স্টেডিয়াম এলাকা থেকে ৫০ টাকা দিয়ে পাঁচটি ঘুমের ওষুধ কেনেন। সাড়ে ৭টায় স্টেডিয়ামে একটি দোকান থেকে ফ্রুটো জুস কিনে তাতে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দেন। এরপর নিজে যৌন উত্তেজক ট্যাবলেটটি খেয়ে ফেলেন। পরে রাত সাড়ে ১০টায় শিশু সানিকে স্টেডিয়ামের ২ নম্বর ও ৩ নম্বর গেটের মাঝামাঝি ঝর্ণার পাড়ে অন্য পথশিশুদের সঙ্গে খেলতে দেখে তাকে ডেকে নিয়ে আসেন। এরপর চান মিয়া ঘুমের ওষুধ মেশানো জুস খাইয়ে দেন সানিকে। সানি জুসটি খাওয়ার ৩০ মিনিটের মধ্যে আস্তে আস্তে দুর্বল হয়ে পড়লে চান মিয়া সানিকে রাত ১১টায় গুলিস্তান পার্কের এক নির্জন স্থানে নিয়ে পাশবিক নির্যাতন করেন। এতে শিশু সানি ব্যথা অনুভব করে শরীর মোচড় দিলে চান মিয়া তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে পাঁচ মিনিট গলা টিপে ধরে রাখেন।

সানির মৃত্যু নিশ্চিত করার পরও লাশের সঙ্গে পাশবিক নির্যাতন চালিয়ে যান। পরে চান মিয়া নিজেই লাশ বস্তাবন্দী করে রাতে পুলিশবক্সের সামনে ফেলে যান। পরদিন ১০ নভেম্বর সানির লাশ পাওয়ার বিষয়ে সানির মাকে খবর দেওয়ার নাটক সাজান।

জানা গেছে, ৯ নভেম্বর রাতে সানি নিখোঁজ হয়। তার মা ঝর্ণা বেগম ওই রাতে তার ছেলেকে খুঁজে না পেয়ে পরদিন সকালে বোনের স্বামী চান মিয়াকে বিষয়টি জানান। ১০ নভেম্বর রাত ৯টায় চান মিয়ার মাধ্যমে ঝর্ণা বেগম পল্টন মডেল থানার পুলিশবক্সের সামনে শিশু সানির বস্তাবন্দী লাশ পাওয়ার খবর পান। এ ঘটনায় থানায় ঝর্ণা বেগম ল্যাংড়া রাসেল, পিন্টু, জুয়েল, কালাম, পায়েল ও হীরার নামে হত্যা মামলা করেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর