সোমবার, ২২ নভেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

জাতিসংঘ আমাদের উন্নয়নের বিশ্বস্ত অংশীদার : অর্থমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, ‘জাতিসংঘ আমাদের উন্নয়নের বিশ্বস্ত অংশীদার।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের স্বাধীনতার লগ্ন থেকেই জাতিসংঘ বাংলাদেশের দীর্ঘমেয়াদি ও বিশ্বস্ত অংশীদার এবং আমাদের সার্বিক উন্নয়ন অর্জনে এ সংস্থা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে।’ মহামারীর ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে এবং ২০৩০ এজেন্ডা অর্জনে আবারও গতি অর্জনে দ্য ইউনাইটেড নেশনস সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট কোঅপারেশন ফ্রেমওয়ার্ক (ইউএনএসডিসিএফ) ২০২২-২০২৬ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। জাতিসংঘ বাংলাদেশকে তার অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে সহযোগী হিসেবে আগের মতো কাজ করবে বলে অর্থমন্ত্রী আশা ব্যক্ত করেন। গতকাল দ্য ইউনাইটেড নেশনস সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট কোঅপারেশন ফ্রেমওয়ার্ক (ইউএনএসডিসিএফ) ২০২২-২০২৬ প্রকাশ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

 ভার্চুয়াল এক সভায় এ ফ্রেমওয়ার্ক প্রকাশ করা হয়।

অনুষ্ঠানটি বাংলাদেশ সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ এবং বাংলাদেশে জাতিসংঘ আবাসিক সমন্বয়কারীর কার্যালয়ের যৌথ উদ্যোগে হয়। এতে আরও বক্তব্য দেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্য দেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মিজ্ ফাতিমা ইয়াসমিন এবং বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী মিজ্ মিয়া সেপ্পো।

পরে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আজীবনের স্বপ্ন ছিল একটি দারিদ্র্য ও শোষণমুক্ত সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ গড়ে তোলা। জাতির পিতার সেই অর্থনৈতিক দর্শন অনুসরণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় নেতৃত্বে করোনা-পূর্ববর্তী এক দশক আমাদের গড়ে ৭.৪% অভূতপূর্ব অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। এমনকি অপ্রত্যাশিত অভিঘাত কভিড-১৯ মহামারীকালে গত বছর যেখানে বৈশ্বিক অর্থনীতি ৩% সংকুচিত হয়েছে, এমন ক্রান্তিকালেও বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের জরিপ অনুযায়ী বাংলাদেশ শীর্ষ ৫টি সহনশীল অর্থনীতির মধ্যে রয়েছে। অতি সম্প্রতি অনুষ্ঠিত জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ টেকসই উন্নয়নে আন্তর্জাতিক সম্মেলন ২০২১-এ আমাদের উন্নয়ন প্রচেষ্টাকে স্বীকৃতি দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে এসডিজি প্রগ্রেস অ্যায়ার্ডে ভূষিত করেছে। আমাদের স্বাধীনতার লগ্ন থেকেই জাতিসংঘ বাংলাদেশের দীর্ঘমেয়াদি ও বিশ্বস্ত অংশীদার এবং আমাদের সার্বিক উন্নয়ন অর্জনে এ সংস্থা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে।’ মহামারীর ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে এবং ২০৩০ এজেন্ডা অর্জনে আবারও গতি অর্জনে এই ফ্রেমওয়ার্ক ভূমিকা রাখবে। জাতিসংঘ বাংলাদেশকে তার অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে সহযোগী হিসাবে আগের মতো কাজ করবে বলে অর্থমন্ত্রী আশা ব্যক্ত করেন।

স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে বাংলাদেশের উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের বিষয়ের ওপর জোর দিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এলডিসি থেকে উত্তরণ করতে চলেছি। ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত দেশ হওয়ার লক্ষ্য অর্জন এবং এই উন্নয়নের সুবিধাসমূহ যেন সবাই সমানভাবে পায়, তা নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব। বাংলাদেশের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীগুলোর জীবনে বাস্তব ও টেকসই পরিবর্তন আনার লক্ষ্য অর্জনে এই ফ্রেমওয়ার্ক কাজ করবে।’

বাংলাদেশে জাতিসংঘ আবাসিক সমন্বয়কারী মিজ্ মিয়া সেপ্পো তার বক্তব্যে এই কোঅপারেশন ফ্রেমওয়ার্ক প্রণয়নে সরকার ও অংশীদারদের ভূমিকার জন্য ধন্যবাদ জানান। তিনি জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা করা, প্রতিটা শিশুর জন্য মানসম্পন্ন শিক্ষা প্রদান, সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে নারী-পুরুষ সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে জাতিসংঘ পরিবার দৃঢ়ভাবে বাংলাদেশ সরকারের থাকবে মর্মে অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর