যথাযথ মর্যাদায় নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে ভারতের নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনে সশস্ত্র বাহিনী দিবস উদযাপিত হয়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী, বাংলাদেশ-ভারত বন্ধুত্বের ৫০ বছর এবং দুই দেশের প্রতিরক্ষা বিষয়ক কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছরে দিবসটির তাৎপর্য ছিল অন্যরকম। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ভারত সরকারের কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা বিষয়ক মন্ত্রী রাজনাথ সিং। দূতাবাস আয়োজিত সশস্ত্র বাহিনী দিবসের কর্মসূচিতে ভারত সরকারের প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর এবারই ছিল প্রথমবারের মতো যোগদান। এ সময় ভারতের সেনাপ্রধানসহ তিন বাহিনীর প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন। সোমবার সন্ধ্যায় স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও স্বাধীনতা সংগ্রামে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা হয়। পরে দূতাবাসের প্রতিরক্ষা বিভাগের আয়োজনে দূতাবাসের প্রতিরক্ষা বিষয়ক উপদেষ্টা মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদের সূচনা বক্তব্যের মধ্য দিয়ে আলোচনা শুরু হয়।
ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং তার বক্তব্যে বাংলাদেশ-ভারতের ৫০ বছরের বন্ধুত্বের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট তুলে ধরে বলেন, দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক এখন অনন্য উচ্চতায়। আমাদের প্রতিবেশী দুই দেশের সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে ৫০ বছরের যে কূটনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে- তা নিশ্চয়ই দৃষ্টান্ত হয়ে আছে।
বাংলাদেশের হাইকমিশনার মুহাম্মদ ইমরান বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের ৫০ বছরকে ইতিহাসের ‘মাইলফলক’ উল্লেখ করে বলেন, এ সম্পর্ক বন্ধুত্বের, এ সম্পর্ক ঐতিহাসিক। বর্তমান সরকারের আমলে যা নতুন মাত্রা পেয়েছে।অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে সাংবাদিক, বীর যোদ্ধা, লেখক, বুদ্ধিজীবী, কূটনীতিকসহ রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। কেক কাটা ও মধ্যাহ্নভোজের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শেষ হয়।