বৃহস্পতিবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

সিলেটে নেতারা নীরব, সরব কর্মীরা

আনুষ্ঠানিকভাবে ইউপি নির্বাচনে অংশ না নিলেও বসে নেই বিএনপি

শাহ্ দিদার আলম নবেল, সিলেট

চলমান ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয়ভাবে অংশ নেয়নি বিএনপি। কিন্তু দল নির্বাচন বয়কট করলেও স্থানীয় নেতারা বসে নেই। দলীয় সিদ্ধান্তের তোয়াক্কা না করে স্বতন্ত্রের ব্যানারে তারা অংশ নিচ্ছেন নির্বাচনে। সিলেট বিএনপির শীর্ষ নেতারা নির্বাচন নিয়ে নীরব থাকলেও তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা শামিল হচ্ছেন ভোট উৎসবে। স্বতন্ত্রের ব্যানারে নির্বাচনে অংশ নেওয়া দলীয় প্রার্র্থীদের পক্ষে তারা কাজ করছেন উৎসবের আমেজে। গেল দুই ধাপের নির্বাচনে সিলেটের বিভিন্ন ইউনিয়নে ভালো ফলাফলও করেছেন বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত চেয়ারম্যান প্রার্থীরা।

গত ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে সিলেটের তিন উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী ও স্বতন্ত্রের ব্যানারে অংশ নেওয়া বিএনপির প্রার্থীদের জয় ছিল প্রায় সমানে সমান। নির্বাচনে ছয়টিতে নৌকা প্রতীকে অংশ নেওয়া আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী ও পাঁচটিতে স্বতন্ত্রের ব্যানারে অংশ নেওয়া বিএনপি নেতারা বিজয়ী হন। বাকি চারটির মধ্যে দুটিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী এবং একটিতে জামায়াত ও একটিতে খেলাফত মজলিস বিজয়ী হয়। দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনের ফলাফল দেখে আগামী ২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য তৃতীয় ধাপের নির্বাচন নিয়ে আরও আশাবাদী হয়ে উঠেছেন সিলেট বিএনপির নেতারা। আগামী ২৮ নভেম্বর সিলেটের গোয়াইনঘাট, দক্ষিণ সুরমা ও জৈন্তাপুর উপজেলার ১৬ ইউনিয়নে ভোট গ্রহণ হওয়ার কথা। প্রতিটি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর সঙ্গে বিএনপি নেতারাও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। দলীয় প্রতীক ছাড়াই দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে আশাতীত ফল করায় এবার আরও জোরেশোরে মাঠে নেমেছেন বিএনপি নেতা-কর্মীরা। নির্বাচনে খালি মাঠে আওয়ামী লীগকে গোল দিতে নারাজ তারা। দলীয় অবস্থানের কারণে জেলা বিএনপির পদবিধারী নেতারা পারছেন না প্রকাশ্যে মাঠে নামতে। ফলে নীরব ভূমিকা পালন করছেন তারা।

সিলেট জেলা বিএনপির এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয়ভাবে অংশ না নিলেও আওয়ামী লীগকে মাঠ খালি করে দিতে নারাজ বিএনপি। কেন্দ্র থেকে এ ব্যাপারে কঠোর কোনো নির্দেশনা না আসায় মাঠের নেতা-কর্মীদের নির্বাচন নিয়ে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে না। যারা প্রার্থী হচ্ছেন তাদের পক্ষে কাজ করার জন্য গোপনে নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। যেসব ইউনিয়নে স্বতন্ত্রের ব্যানারে অংশ নেওয়া দলের প্রার্থীর অবস্থা সুবিধাজনক আছে, সেসব প্রার্থীকে বিজয়ী করতে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হচ্ছে। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন প্রসঙ্গে সিলেট জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কামরুল হুদা জায়গীরদার ও সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রব চৌধুরী ফয়সল বলেন, ‘বিএনপি দলীয়ভাবে নির্বাচনে অংশ নেয়নি। দলের যেসব নেতা নির্বাচন করছেন তারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। তাদের সঙ্গে দলের কোনো সম্পর্ক নেই।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর