বৃহস্পতিবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

বন্দীরা কবে পাবেন করোনা টিকা

ঝুঁকিতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজারের ১২ হাজার হাজতি

মুহাম্মদ সেলিম, চট্টগ্রাম

বন্দীরা কবে পাবেন করোনা টিকা

করোনা টিকা কার্যক্রমের বাইরে রয়েছে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার কারাগারের ১২ হাজার বন্দী। দেশে সেক্টর ভিত্তিক টিকাদান কর্মসূচি শুরু হলেও কারাগারের ভিতর কবে টিকা কার্যক্রম শুরু হবে তা জানা নেই কারোর। ফলে করোনা ঝুঁকিতে রয়েছে এ দুই কারাগারের বন্দীরা। তবে চট্টগ্রাম সিভিল সার্জনের দাবি কারাগারে বন্দীদের টিকার আওতায় আনার কার্যক্রম দ্রুততার সঙ্গে শুরুর প্রচেষ্টা চলছে। চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘বন্দীদের করোনা টিকা দেওয়ার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত পাইনি। বিষয়টা কারা অধিদফতর আন্তরিকতার সঙ্গে দেখছে। আশা করছি কারাগারের বন্দীদের জন্য দ্রুত সময়ের মধ্যে টিকা কার্যক্রম শুরু হবে।’ কক্সবাজার কারাগারের জেলার মোস্তাফা কামাল জানান, ‘কক্সবাজার কারাগারের বন্দীদের করোনা টিকার আওতায় আনতে কর্তৃপক্ষকে প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে। বিষয়টা প্রক্রিয়াধীন।’

চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. ইলিয়াছ চৌধুরী বলেন, ‘সরকার সাধারণ টিকাদান কর্মসূচির পাশাপাশি সেক্টর ভিত্তিক টিকা কার্যক্রম চালাচ্ছে। ধাপে ধাপে করোনা টিকার আওতায় আনা হবে কারাগারে বন্দীদের।’ নাম প্রকাশ না করার শর্তে চট্টগ্রাম কারাগারের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘কারাগারে টিকা কার্যক্রম শুরুর জন্য কারা অধিদফতর চিঠি দিয়েছে স্বরাষ্ট্র ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে। কিন্তু এখনো পর্যন্ত বন্দীদের টিকা কার্যক্রম শুরুর বিষয়ে প্রত্যাশিত সাড়া পাওয়া যায়নি। তবে কারা অধিদফতরের পরিকল্পনা রয়েছে দেশের বিভিন্ন কারাগারে বন্দী ৮০ হাজারের অধিক বন্দীকে একই সঙ্গে টিকার আওতায় আনার।’ জানা যায়, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার কারাগারে বন্দী রয়েছে ১২ হাজারের মতো। যার মধ্যে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী রয়েছেন ৮ হাজারের কাছাকাছি। তাদের মধ্যে বিদেশি রয়েছেন শতাধিক। এ ছাড়া কক্সবাজার কারাগারে বন্দী রয়েছেন ৪ হাজার। যার মধ্যে বিদেশি বন্দী রয়েছেন প্রায় ১ হাজার। এ দুই কারাগারে প্রতিদিন দুই থেকে তিনশ নতুন বন্দী আসেন। কারাগারে এখনো পর্যন্ত করোনা টিকা কার্যক্রম শুরু না হওয়ায় প্রাদুর্ভাব এড়াতে নেওয়া হয়েছে কঠোর সুরক্ষা ব্যবস্থা। নতুন ও আদালতে হাজিরা দিতে যাওয়া বন্দীদের বাধ্যকতামূলক ভাবে রাখা হয় কোয়ারেন্টাইনে। কারাগারে নতুন আসা বন্দীদের ১৪ দিন এবং আদালতে হাজিরা দিতে যাওয়া বন্দীদের পাঁচ দিনের বাধ্যকতামূলক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়। সংক্রামণ এড়াতে বন্ধ করা হয়েছে স্বজনদের সঙ্গে সরাসরি সাক্ষাৎ। কারাগারে ভিতর সংক্রামণ ঠেকাতে কারারক্ষীদের জন্যও জারি করা হয়েছে কিছু বিধিনিষেধ। যেসব রক্ষী কারাগারের বাইরে কর্মরত আছেন তাদের কারাগারের ভিতর প্রবেশে দেওয়া হয়েছে নিষেধাজ্ঞা।

একই ভাবে কারা অভ্যন্তরে দায়িত্বরতদেরও দেওয়া হয়েছে কিছু নির্দেশনা।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর