শুক্রবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

মেয়াদোত্তীর্ণ তিন কমিটি স্থবির চট্টগ্রাম জাপা

সাইদুল ইসলাম, চট্টগ্রাম

জাতীয় পার্টির (জাপা-এরশাদ) চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ- এই তিন সাংগঠনিক কমিটির মেয়াদ নেই। কোনো কার্যক্রম বা কর্মসূচিও নেই। নেই ওয়ার্ড, থানা ও ইউনিয়ন কমিটিও। কর্মীরা ভুগছেন নেতৃত্ব শূন্যতায়। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন সাংগঠনিক তৎপরতা ও নতুন কমিটি না হওয়ায় নেতৃত্ব তৈরি হচ্ছে না। চট্টগ্রাম জেলা উত্তর ও মহানগর কমিটির বেশির ভাগ সদস্য সংগঠনের কাজে নেই। দক্ষিণে রয়েছে নামমাত্র আহ্বায়ক কমিটি। এ নিয়েও রয়েছে কোন্দল ও নানা প্রশ্ন। সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের কাজের সমন্বয় নেই।

চট্টগ্রাম মহানগর জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক এয়াকুব আলী বলেন, নিয়মিত সাংগঠনিক কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। তবে এখনো বড় ধরনের কোনো কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়নি। নানা কারণে অনেক কমিটিও করা যায়নি। চেষ্টা চলছে দ্রুত ওয়ার্ড ও থানা কমিটি গঠন করার। তিনি বলেন, সংগঠনের বিরুদ্ধে একটি চক্র নানা চক্রান্ত করছে। চট্টগ্রাম মহানগর জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক রেজাউল করিম রেজা বলেন, চট্টগ্রামে সত্যিকার অর্থে জাপার কর্মকাণ্ড নেই। বর্তমান কমিটির মেয়াদও শেষ হয়ে গেছে। দ্রুত নতুন কমিটি দেওয়া না হলে দলীয় নেতা-কর্মীরা আস্থা ও বিশ্বাস হারিয়ে সংগঠন ছেড়ে দিতে পারেন। তিনি আরও বলেন, নগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলার তিন সাংগঠনিক কমিটিতে রয়েছে অভ্যন্তরীণ কোন্দল। কমিটি গঠনের তৎপরতা শুরু হলে শুধু পদ-পদবির জন্য সবাই লবিং ও তদবিরে ব্যস্ত থাকেন।

দলীয় সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম মহানগর জাপা একাংশের নেতৃত্বে রয়েছেন দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও মহানগরের আহ্বায়ক সোলায়মান আলম শেঠ। অন্য অংশের নেতৃত্বে সাবেক এমপি ও দলের ভাইস চেয়ারম্যান মাহজাবীন মোরশেদ ও তার স্বামী  মোরশেদ মুরাদ ইব্রাহিম। তিনিও জাপার ভাইস চেয়ারম্যান।

জানা গেছে, ২০১৭ সালের ১১ জানুয়ারি দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য সোলায়মান আলম শেঠকে মহানগর জাপার সভাপতি করা হয়। সাধারণ সম্পাদক করা হয় এয়াকুব আলীকে। নগর জাতীয় পার্টির ১০১ সদস্যবিশিষ্ট কেন্দ্রীয় কমিটি অনুমোদন দেয়। ২০১৮ সালে নজরুল ইসলামকে আহ্বায়ক ও শফিকুল ইসলাম চৌধুরীকে সদস্যসচিব করে ১০১ সদস্যবিশিষ্ট চট্টগ্রাম উত্তর জেলা জাপার আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি গঠনের এই দীর্ঘ সময়েও কোনো পরিচিতি সভা হয়নি। সাংগঠনিক কার্যক্রমও শুরু হয়নি। একই অবস্থা দক্ষিণ জেলা জাতীয় পার্টিরও। দক্ষিণ জেলা জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড না থাকায় সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি হয়। যে কারণে কোনো অভিষেক অনুষ্ঠান হয়নি। পরে নামে মাত্র আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। আহ্বায়ক করা হয় সামশুল আলম মাস্টার ও সদস্যসচিব করা হয় নুরুচ্ছফা সরকারকে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর