উৎসবমুখর পরিবেশে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপিত হয়েছে। গতকাল সকালে বেলুন-ফেস্টুন উড়িয়ে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের উদ্বোধন করেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন। পরে ক্যাম্পাসে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়। দিবসটি উপলক্ষে ক্যাম্পাসে আলোকসজ্জা, কৃতী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করা হয়। উপাচার্য বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়কে শিক্ষা, গবেষণা ও উদ্ভাবনায় মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে নিয়ে যেতে চাই। আমাদের সামনে শুধু আকাশ। আমরা এখন আকাশ ছুঁতে চাই। পরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সংস্কারকৃত বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল উদ্বোধন করা হয়। খুলনা সরকারি মহিলা কলেজে বঙ্গবন্ধুর রোপণকৃত নারিকেল গাছে উৎপাদিত নারিকেল থেকে তৈরি চারা এখানে রোপণ করা হয়।
উল্লেখ্য, দীর্ঘ আন্দোলনের পর ১৯৮৭ সালের ৪ জানুয়ারি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সরকারি সিদ্ধান্ত গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়। ১৯৮৯ সালের ৯ মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। ১৯৯০ সালের জুলাই মাসে জাতীয় সংসদে ‘খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় আইন-১৯৯০’ পাস হয়। ১৯৯১ সালের ২৫ নভেম্বর শিক্ষা কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়। ১৯৯০-৯১ শিক্ষাবর্ষে চারটি ডিসিপ্লিনে ৮০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাকার্যক্রমের যাত্রা শুরু হয়। ৩১তম শিক্ষাবর্ষে এখন ডিসিপ্লিনের সংখ্যা ২৯টি এবং শিক্ষার্থী সংখ্যা প্রায় ৭ হাজার।