শনিবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

আইন প্রয়োগকারী সংস্থার পরিচয়ে চাঁদাবাজি

মুহাম্মদ সেলিম, চট্টগ্রাম

প্রতারণার নতুন ধরন হিসেবে পুলিশ বা র‌্যাব কর্মকর্তা পরিচয় দিয়েই নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অপরাধ সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছে কয়েকটি চক্র। পাহাড়, জমি দখল, মাদক ব্যবসাসহ অপরাধের শাখা-প্রশাখা বিস্তার করেছে প্রতারকরা। অবশেষে চক্রটি নিয়ন্ত্রণে মাঠে নেমেছে চট্টগ্রামের প্রশাসন।

র‌্যাব-৭ অধিনায়ক লে. কর্নেল এম এ ইউসুফ বলেন, ‘র‌্যাব পরিচয় দিয়ে চাঁদাবাজির সময় দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আরও কয়েকজন নজরদারিতে রয়েছেন। তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।’

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটান পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর বলেন, ‘আইন প্রয়োগকারী সংস্থার পরিচয়ে চাঁদাবাজি ঠেকাতে আমরা কঠোর অবস্থানে রয়েছি। ইতিমধ্যে কয়েকজনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে।’  তিনি বলেন, ‘পুলিশ পরিচয়ে চাঁদা নেওয়ার সুযোগ নেই। নগরবাসীকে অনুরোধ করব পুলিশ পরিচয়ে কেউ চাঁদা চাইলে তা সংশ্লিষ্ট থানায় অবহিত করতে।’

জানা যায়, নগরীর রৌফাবাদ থেকে গ্রেফতার করা হয় মো. রুবেল নামে এক যুবককে। তার প্রতারণার বিষয়ে বায়েজিদ থানার ওসি মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, রুবেল বিভিন্নজনের কাছে নিজেকে পুলিশ সদস্য পরিচয় দিয়ে চাঁদাবাজি, সরকারি পাহাড় দখল, জমি দখল ও জুয়ার আসার বসাতো। তার অপকর্মের খবর পেয়ে শুক্রবার ভোরে গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। এর আগে র‌্যাব পরিচয় দিয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগে ২৩ নভেম্বর সীতাকুণ্ড থেকে মো. রাশেদ নামে একজনকে গ্রেফতার করে র‌্যাব-৭। ২০ নভেম্বর মিরসরাইয়ে ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে বেগম পারুল আকতার নামে এক নারীর কাছ থেকে স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ অর্থ ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। ১৮ নভেম্বর নগরীর বহদ্দারহাটে র‌্যাব পরিচয় দিয়ে প্রতারণার সময় মো. রিহাদ নামে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়। ১৮ মার্চ পুলিশ পরিচয় দিয়ে এক নারীর কাছ থেকে নগদ অর্থ এবং স্বর্ণালঙ্কার লুটের অভিযোগে তিনজনকে গ্রেফতার করে সদরঘাট থানা পুলিশ। ১৫ ফেব্রুয়ারি শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে প্রতারণার অভিযোগে মোজাম্মেল হক নামে এক প্রতারককে গ্রেফতার করে কোতোয়ালি থানা পুলিশ। নগরীর পাহাড়তলী থানার এসআই পরিচয় দিয়ে প্রতারণার অভিযোগে গত বছরের ৭ ডিসেম্বর জসিম উদ্দিন নামে একজনকে গ্রেফতার করে চট্টগ্রাম মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর