শনিবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

উদ্বোধনের মধ্যেই ঘুরপাক খাচ্ছে চসিকের নতুন খাল খনন

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

মহানগরের জলাবদ্ধতা নিরসনে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) একটি নতুন খাল খননের প্রকল্প গ্রহণ করে। ২০১৪ সালের ২৪ জুন এ প্রকল্পের জন্য ৩২৬ কোটি টাকা একনেক সভায় অনুমোদন হয়। এরই মধ্যে পার হয়েছে সাড়ে সাত বছর। কিন্তু খনন কাজ শুরু হয়নি! এ অবস্থায় প্রকল্পের ব্যয় বেড়েছে চার গুণের বেশি। চতুর্থ দফায় ব্যয় সংশোধন হয়ে এখন প্রকল্প ব্যয় ১ হাজার ২৫৬ কোটি টাকা।

চসিক ২০২০ সালের ২৮ জানুয়ারি ‘আনুষ্ঠানিকতানির্ভর’ খাল খনন উদ্বোধন করে। কিন্তু উদ্বোধনের পর আর কোনো ভৌতিক কাজই হয়নি। ফলে উদ্বোধনের মধ্যেই চসিকের নতুন খাল খনন কাজ ঘুরপাক খাচ্ছে। তবে আজ খাল খনন কাজ দ্বিতীয় দফায় উদ্বোধন করা হবে। উদ্বোধন করবেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম। এ উপলক্ষে চসিক মেয়র গতকাল বিকালে বারইপাড়ার মাইজপাড়া তাজুল ইসলাম বিদ্যালয়সংলগ্ন খাল খনন স্থান পরিদর্শন করেন। চসিক মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতার কারণে খনন কাজ শুরু করা যায়নি। নানা প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ভূমি অধিগ্রহণ বাবদ জেলা প্রশাসনকে ৯১১ কোটি ৮৭ লাখ টাকার চেক দেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসন ২০ সেপ্টেম্বর খালের জন্য ৬ দশমিক ৯৫ একর ভূমি চসিককে দখল হস্তান্তর করে। এর পরই খাল খনন কাজ শুরুর উদ্যোগ নেওয়া হয়। ২০২৪ সালের জুলাইয়ের মধ্যে খনন কাজ শেষ করার পরিকল্পনা আছে। জানা যায়, ১৯৯৫ সালে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ প্রণীত নগর উন্নয়ন মহাপরিকল্পনায় জলাবদ্ধতা নিরসনে নতুন একটি খাল খননের কথা বলা হয়। ২০১৪ সালে বহদ্দারহাট বারইপাড়া থেকে কর্ণফুলী নদী পর্যন্ত একটি খালের জন্য ৩২৬ কোটি টাকা একনেক সভায় অনুমোদন হয়। ২০১৭ সালের জুনে নতুন খাল খনন কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও কোনো কাজই হয়নি। ওই বছর জানুয়ারিতে প্রকল্পটি সংশোধন করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। সংশোধিত প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় ৬১৫ কোটি ২৬ লাখ টাকা। ২০১৮ সালের নভেম্বরে ফের প্রকল্পটি সংশোধন করে ব্যয় উন্নীত হয় ১ হাজার ২৫৬ কোটি টাকায়। সময় বৃদ্ধি করা হয় ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত। এবারও কাজটি আলোর মুখ দেখেনি।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর