দেশে কিডনি রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। কিন্তু তাদের চিকিৎসা দিতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক নেফ্রোলজিস্ট নেই। তবে যারা আছেন তাদের বেশির ভাগ রাজধানীতে। ফলে রাজধানীর বাইরের রোগীর চিকিৎসা প্রয়োজন হলে তারা প্রাথমিক অবস্থায় চিকিৎসা পান না।

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক নেফ্রোলজিস্ট সম্মেলনে বিশিষ্ট কিডনি বিশেষজ্ঞরা এসব তথ্য দেন। গতকাল সম্মেলনটির উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হয়। সম্মেলনে যৌথভাবে আয়োজন করে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র বাংলাদেশ, বাংলাদেশ রেনাল অ্যাসোসিয়েশন এবং আইএসএন। ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালের বীর উত্তম মেজর হায়দার অডিটরিয়ামে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন কিডনি হাসপাতাল ও কিডনি ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও চিফ অব কনসালট্যান্ট অধ্যাপক ডা. হারুন উর রশীদ। এ ছাড়া বক্তব্য দেন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হানিফ, অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ রাফিকুল আলম প্রমুখ।

 বাংলাদেশে মোট জনসংখ্যার আড়াই শতাংশ নানা ধরনের কিডনি রোগে ভুগছে। কিডনি অকেজো হওয়ার পর ডায়ালাইসিস করে বেঁচে থাকতে কিডনি রোগীদের ১২-২২ শতাংশের সম্পদ বিক্রি করে দিতে হচ্ছে। দেশের কিডনি রোগীদের মোট ১ শতাংশেরও কম কিডনি প্রতিস্থাপনের সুবিধা রয়েছে। তবে কিডনি রোগটি প্রাথমিক অবস্থায় নিরূপণ করতে পারলে চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে যেতে পারে। কিন্তু বাংলাদেশে প্রয়োজনের তুলনায় নেফ্রোলজিস্ট নেই।