রবিবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু ২, শনাক্ত ১৫৫

নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন নিয়ে উদ্বেগ

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু ২, শনাক্ত ১৫৫

দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতি এখনো নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। গতকাল সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে ১৫৫ জন। নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ছিল ১.১৫ শতাংশ। এ সময়ে প্রাণ হারিয়েছেন দুজন। তবে বিশ্বের অন্তত পাঁচটি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়া ভাইরাসটির নতুন ভ্যারিয়েন্ট ‘ওমিক্রন’ নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। সর্বাধিক মিউটেশন ঘটানো ভাইরাসটির সংক্রমণ রোধে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে নতুন করে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকা ও তার আশপাশের দেশগুলো থেকে ফ্লাইট আগমনে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাজ্য। বাংলাদেশে এখনো নতুন ভ্যারিয়েন্টটি সংক্রমণের কোনো প্রমাণ না মিললেও বিদেশ থেকে আসা মানুষের শরীরে ভর করে ভাইরাসটি দেশে প্রবেশের আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম এ ভাইরাসটি শনাক্ত হয়। সর্বশেষ পাওয়া তথ্যানুযায়ী, চীনের উহানে করোনার প্রথম জীবাণুটি থেকে নতুন ভ্যারিয়েন্টটি অনেকখানিই ভিন্ন। যেহেতু কভিডের মূল স্ট্রেইনকে মাথায় রেখে ভ্যাকসিন তৈরি করা হয়েছে, তাই নতুন ভাইরাসটির বিরুদ্ধে ভ্যাকসিন কার্যকর হবে কি না তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন বিজ্ঞানীরা। দক্ষিণ আফ্রিকার সেন্টার ফর এপিডেমিক রেসপন্স অ্যান্ড ইনোভেশনের পরিচালক অধ্যাপক টুলিও ডি অলিভিয়েরা এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, ওমিক্রন অনেক অস্বাভাবিকভাবে মিউটেট করেছে এবং এখন পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়া অন্য ভ্যারিয়েন্টগুলো থেকে অনেকখানি আলাদা। বিবর্তনের জন্য এটা বড় বড় ধাপ পার করেছে। তিনি বলেন, ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট মিউটেট করেছে ৫০ বার। আর এর স্পাইক প্রোটিন বদলেছে ৩০ বার। মানুষের দেহে ঢুকতে কভিড ভাইরাস এ স্পাইক প্রোটিন ব্যবহার করে। এবং করোনার ভ্যাকসিন সাধারণত এ স্পাইক প্রোটিনকে লক্ষ্য করে তৈরি করা হয়।

এ ছাড়া ভাইরাসের যে অংশটি প্রথম মানুষের দেহকোষের সঙ্গে সংযোগ ঘটায় এর নাম রিসেপ্টার বাইন্ডিং ডোমেইন। ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট সেই রিসেপ্টার বাইন্ডিং ডোমেইনে মিউটেশন ঘটিয়েছে ১০ বার, যেখানে এখন পর্যন্ত সর্বাধিক প্রাণহানির জন্য দায়ী ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে এ পরিবর্তন হয়েছে মাত্র দুবার।

এদিকে বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত ১৫ লাখ ৭৫ হাজার ৫৭৯ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন ২৭ হাজার ৯৭৫ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় দুজনই মারা গেছেন ঢাকা বিভাগে। এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৪৩.৬৪ শতাংশ মৃত্যু হয়েছে এ বিভাগে। চলতি বছরের মে মাসে করোনার ভারতীয় ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ায় সর্বোচ্চ সংক্রমণ ও মৃত্যু দেখে দেশ। সারা বিশ্বে তান্ডব চালায় ভাইরাসটি, যা এখনো চলছে। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের চেয়ে কয়েক গুণ মিউটেশন ঘটানো ওমিক্রন নিয়ে তাই এখন বিশ্বব্যাপী উদ্বেগ বাড়ছে। বিভিন্ন দেশের বিমানবন্দরে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর