রবিবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা
সংক্ষিপ্ত

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ : কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ শৃঙ্খলমুক্ত গণতন্ত্রের ক্রমবিকাশ ধারায় এগিয়ে যাচ্ছে। গতকাল সকালে শহীদ ডা. মিলন দিবস উপলক্ষে শামসুল আলম খান মিলনের প্রতিকৃতিতে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে দলের কেন্দ্রীয় নেতারা শহীদ মিলনের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এ সময়ে কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক, কেন্দ্রীয় নেতা ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, আফজাল হোসেন, অসীম কুমার উকিল, আবদুস সবুর, সায়েম খান, সৈয়দ আবদুল আউয়াল শামীম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া যুবলীগ, ছাত্রলীগ, কৃষক লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, বিএমএসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল  ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান ডা. মিলনের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানায়। ওবায়দুল কাদের বলেন, ডা. মিলনের বলিদান স্বৈরাচারবিরোধী গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনকে আরও বেগবান করেছিল।

 আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা এ আন্দোলনে আপসহীন ভূমিকা পালন করেন এবং এ আন্দোলনের ফলে স্বৈরাচারের পতন ঘটে। গণতন্ত্রের শৃঙ্খলমুক্তি ঘটে। তিনি বলেন, গণতন্ত্রের শৃঙ্খলমুক্তি ঘটলেও এ কথা সত্য যে, আমরা আজও গণতন্ত্রকে পুরোপুরি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে পারিনি। এ জন্য আরও সময়ের প্রয়োজন। গণতান্ত্রিক শক্তিগুলোর ঐক্যের প্রয়োজন।

চেয়ারে বসলে অনেক কিছু অ্যাডজাস্ট করতে হয় : সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, পরিষ্কারভাবে একটি সত্য কথা বলতে চাই, এখানে অনেক সমস্যা আছে, যখন চেয়ারে বসবেন অনেক কিছু মোকাবিলা করতে হয়। এটা একটা চ্যালেঞ্জিং জব। এখানে আমরা কিছু কিছু বিষয় অ্যাডজাস্ট করি।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদের গতকালের বৈঠকে মহাসড়ক বিল-২০২১-এর জনমত যাচাই প্রস্তাবের ওপর আনীত বিরোধী দলের সদস্যদের জবাব দিতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে বিএনপির এমপি রুমিন ফারহানা বলেন, পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের চাপে সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮-এর সংশোধন করে শাস্তি কমানো হচ্ছে। এই সংশোধনীর উদ্যোগকে তিনি ছাত্রদের সঙ্গে প্রতারণা বলে অভিযোগ করেন।

জবাব দিতে গিয়ে কাদের বলেন, কিন্তু সংসদে যেটা বলা হয়েছে তা মোটেও ঠিক নয়। আপনি আইনটির সংশোধিত রূপটি এখনো দেখেননি। এটা সংসদে আসেনি। আইন শাখা এটা ইতিমধ্যে ভেটিং করেছে। তারপরও মতামত নিচ্ছি। আপনাদের আশ্বস্ত করতে চাই, এই আইনে সাজার শৈথিল্য বা কঠোরতা কোনোভাবেই শিথিল করা হয়নি। আইনের যে কঠোরতা, আইনের যে স্পিরিট অরিজিনাল আইনে যা ছিল তা-ই আছে। তা-ই থাকবে। জনবান্ধব শেখ হাসিনার সরকার জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করে না। তিনি আরও বলেন, সড়কের দুর্ঘটনা বন্ধ শুধু সরকারের কাজ নয়। সবার সহযোগিতা দরকার। বেপরোয়া ড্রাইভিং অবশ্যই দায়ী, আমি তা অস্বীকার করছি না। কিন্তু আমরা জনগণ যারা রাস্তা ব্যবহার করি তারা সচেতন নই। শুধু চালক নয়, পথচারীরাও বেপরোয়া হয়ে যায়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর