বুধবার, ১ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

ইউপি নির্বাচনে ঘাঁটিতে জাপার ভরাডুবি

নজরুল মৃধা, রংপুর

তৃতীয় দফা ইউপি নির্বাচনে ভোটের হিসাবে জাতীয় পার্টির অবস্থা খুবই নাজুক। ২৮ নভেম্বরের নির্বাচনে রংপুর বিভাগের ১৯টি উপজেলায় ১৫২টি ইউনিয়নে নির্বাচন হয়েছে। এর মধ্যে রংপুর বিভাগের ৫ জেলায় ৩০টি ইউনিয়নে প্রার্থী দিয়েছিল জাতীয় পার্টি। জিতেছেন মাত্র ৮টিতে। নিজেদের দুর্গ বলে খ্যাত রংপুর সদরে জাতীয় পার্টির করুণ অবস্থা দেখে নেতা-কর্মীদের হতাশ হয়ে বলতে শোনা গেছে- এরশাদ মরি গেইছে জাতীয় পার্টিও গেইছে।

১৯৯০ সাল থেকে রংপুর সদর আসনে আওয়ামী লীগ কোনো প্রার্থী না দেওয়ায় এক তরফাভাবে এই আসনটি গত ৩০ বছরের বেশি সময় থেকে ধরে রেখেছে জাতীয় পার্টি। তৃতীয় দফায় রংপুর সদরে দুটি ইউনিয়নে ভোট হয়েছে। দুটিতেই জাপার প্রার্থী হেরেছে। এখানে জিতেছে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী। এ ছাড়া রংপুরে আরও ১১টি ইউনিয়নে নির্বাচন হয়েছে। কুড়িগ্রামে তুলনামূলকভাবে কিছুটা ভালো করেছে জাপা। ২৭টি ইউনিয়নের মধ্যে জাতীয় পার্টি জিতেছে ৫টিতে। এ ছাড়া লাঙ্গল প্রতীকে নীলফামারীর জলঢাকায় একজন ও কিশোরগঞ্জে জিতেছেন একজন।

 গাইবান্ধার ১৯ ইউনিয়নের মধ্যে পলাশবাড়ীতে একজন লাঙ্গল প্রতীকে জয় লাভ করেছেন। জাপা ঘাঁটি রংপুরের ১৩টি ইউনিয়নে বেশকটিতে জাতীয় পার্টি প্রার্থী দিতে পারেনি। সদরে প্রার্থী দিলেও সেখানে লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী হেরে গেছেন।

দলের তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা হলে তাদের অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এক সময় রংপুর বিভাগের ২২টি সংসদীয় আসনই জাতীয় পার্টির দখলে ছিল। জাপা চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদের মৃত্যুর পরে তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের সংগঠিত করতে না পারার কারণেই ঘাঁটিতে ভারাডুবি হয়েছে জাতীয় পার্টির। তৃণমূল নেতারা মনে করেন আগামী সংসদ নির্বাচনের আগে দলকে সুসংগঠিত করতে না পারলে সেখানেও ভরাডুরি শঙ্কা রয়েছে। জাপার অনেক নেতা-কর্মী মনে করেন শীর্ষ নেতারা ঢাকামুখী হওয়ায় জনগণের সঙ্গে সম্পর্কহীন হয়ে পড়ায় এমনটা হয়েছে।

ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির ভরাডুবি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সংসদের বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ, রংপুর জেলা জাপার সভাপতি ও গঙ্গাচড়া আসনের এমপি মশিউর রহমান রাঙ্গা এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর